শামীমা জামানের গল্প ‘সোনার পুতুল’

সকাল বেলায় নদীতে যাই, সেখানে স্নান-টান সেরে, লোকজনের যাওয়া-আসা কথাবার্তা এই সব তামাসা দেখে, আবার গাছতলায় এসে বসি। তারপর, যেদিন খাওয়া জোটে খাই, যেদিন জোটে না খাই না।

জমিলার মন আন্ধার হইয়া আসে। একমাত্র পোলা সামছুর লিগা বাপ-মা মরা এই এতিম মাইয়ারে পছন্দ হইছিল তার। আট বছর আগের কথা, পরীর মতো সুন্দর আবার নামও পরী। কেন যে রূপ দেইখা চোখ ঝলসায়ে গেল আল্লায়ই জানে।

মার্কারের সঙ্গে বিলিয়ার্ডস খেলতে খেলতে প্রিন্সিপাল সাহেব দারুণ একটা ‘ব্রেক’ করলেন। কিন্তু এর জন্যে তাঁকে বাহবা দেবার জন্যে সন্ধ্যাবেলা ক্লাবে মার্কার ভিন্ন আর কেউ ছিল না।

তখন আমি আমেরিকান অ্যাম্বাসির অপজিটে থাকি। এক বড়ভাইয়ের কল্যাণে দোতলা ছাদের ওপর সুন্দর কিচেন, এটাচ বাথঅলা এক বিশাল রুম পাইয়া গেসি। উনি বাসা নিয়া পরে আর ওঠে নাই।

প্রভ্যাত কথাসাহিত্যিক বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের আজ জন্মদিন। ১৮৯৪ সালের ২৪ অক্টোবর বিহারের দ্বারভাঙ্গা জেলার পান্ডুল গ্রামে তার জন্ম। ছাড়পত্রের পক্ষ থেকে তার জন্মদিনে তার লেখা ‘রাণুর প্রথম ভাগ’ গল্পটি পুনর্মুদ্রণ করা হলো:

ঝিমধরা মাথা নিয়ে বাসায় যখন ফিরি তখন প্রায় মধ্যরাত পেরিয়ে গেছে। বাসার কাছাকাছি আসতেই চেনা বাসা অচেনা লাগা শুরু হয় আমার। চারপাশে এত কেন আলো? রাতে ফেরা বাসাটার দরজার রঙ কি এমন ক্যাটক্যাটে ধূসরই?

লাশ আবিষ্কার হবার সাথে সাথেই মফস্বলটা কেমন পরিচিত হতে শুরু করলো। পুলিশও নড়ে উঠেছে। তারা এসে দ্রুত লোকজন সরিয়ে ফেললো। এক রোগা অসুস্থ অফিসার সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে দিলো।

সে ভাবিলো তাহার হৈয়া গিয়াছে। বুকের ভিতর হাত দিয়া সে হৃপিণ্ডটা বাহির করিয়া আনিলো। এবং কচকচ করিয়া চিবাইয়া খাইতে লাগিলো।