শামীমা জামানের গল্প ‘সোনার পুতুল’

বসরা নগরীর এক ধনীলোক মারা গেলেন। তার ধনসম্পত্তির মালিক হলো তার একমাত্র অবিবাহিত মেয়ে। সে ছিল রূপসী কোনো নদীর মতো। লাবণ্যে ঢলঢল তার দেহ। একদিকে সম্পত্তি, আরদিকে রূপের আগুন, ভাবনায় পড়ল মেয়েটি।

কাদা মাখা পিচ ঢালা রাস্তা দিয়ে হাঁটছি আমি। প্রচণ্ড বৃষ্টি। বৃষ্টি হচ্ছে বাইরে এবং হয়তো আমার ভেতরেও। শরীরের সাথে সাথে তাতে ভিজছে আমার ভেতরটাও। রাস্তায় একটা কুকুরও দেখা যাচ্ছে না। সবেমাত্র বিকেল পাঁচটা হলেও বৃষ্টির কারণে সন্ধ্যা-সন্ধ্যা পরিবেশ চারপাশের।

দুবার হাই তুললো নিয়ামুল। মোবাইল তুলে সময় দেখল, সাতটার কাছাকাছি। উঠে বসলো বিছনায়। সিগারেটের প্যাকেট হাতে নিয়ে দেখল, খালি। হা বরাত! সামনের দেয়ালে ছুঁড়ে মারলো প্যাকেটটা। উঠে দাঁড়াতে গিয়ে খুলে পড়ে গেল লুঙি। বসে পড়লো ফের। হাই তুললো।

গ্রামের হাটের পাশে একটা বটচারার জন্ম হলো। গ্রামের সবাই খুব খুশি। গাছটা বড় হলে ছায়া দেবে, হাটুরেরা একটু শান্তি পাবে এর তলায় আশ্রয় নিয়ে, দূর থেকে গ্রামটাকে চেনা যাবে এই বটগাছটা দিয়েই। ফলে গ্রামের সবাই বটচারাটার বেড়ে ওঠার ব্যাপারে সচেষ্ট হলো। সবাই একে নজরে নজরে রাখে।

আমাদের কো এডুকেশন ক্লাসের একটা মেয়ে লিজি... সে শুধু শুধু আমার কাছে এসে কথা বলার সুযোগ খুঁজতো। আমি পড়াশুনা ও খেলাধূলায় দুর্দান্ত ছিলাম। লিজি আমার কাছে আসতো অংকের নানা সমস্যা নিয়ে। সে পাশে বসে খালি হু হু করতো, কিন্তু শেষে দেখা যেত, কিছুই বুঝে নাই।

তাঁতি আর একটুও দেরি করল না। তাড়াতাড়ি গিয়ে তাঁতের কাছে বসলো। এদিকে সুতো দেয়ার সময়ও আর নেই। অগত্যা সে সেই খালি মাকুটা তাঁতের মধ্যে চালিয়ে কাপড় বোনার ভান করতে লাগল। ততক্ষণে উজির আর নাজির সেখানে এসে হাজির। তাঁতি তাড়াতাড়ি উঠে তাদের দুজনকে বসার জন্যে দুটো আসন দিল।

টানতে লাগলেন গুড্ডু ভাই... দীর্ঘ দমে... পাগলের মতো... হাতবদল আর করছেন না। ইয়াসিন মোল্লা আর তার সঙ্গিনী চেয়ে আছেন গুড্ডু ভাইয়ের মুখের দিকে। মাজারের আলোয় মানুষটাকে ভুতুরে মনে হতে লাগলো তাদের। ইয়াসিন মোল্লা থমথমে গলায় বললেন, ভাই, পেরেশানির কী আছে। আস্তে-ধীরে দম দেন।

তানু মিয়ার মাথা ভনভন করতাছে। মাইয়াডা দুই হাতে তিনডা আচারের শিশি বুকে চাইপা ধইরা আছে। বুকের কাপড় সইরা গিয়া ব্লাউজের হুক দেখা যাইতেছে। তাড়াহুড়া কইরা মাইয়াডা শিশিগুলি রাইখা সিঁড়ি দিয়া নাইমা গেলগা। নামডাও জানা হইলো না। এত সুন্দর মাইয়াও দুইন্যায় আছে!