দ্য গ্রেট থিফ
তখন সেইটা আর ঘটনা নাই,’গল্প’ হয়া গেছে। সবসুময় খিয়াল কইরা দেখবা, একজনের থেইকা যখন তুমি একটা ঘটনা শুনবা, তখন সেইটা আর ঘটনা থাকে না, ঘটনার মইদ্যে স্টোরি ঢুইক্কা যায়...ফ্যাক্টসের পার্সেন্টেজ কইমা আসে ঘটনায়
মে ২০, ২০১৮
দ্য গ্রেট থিফ
কোনো বড় জলাশয়ের মধ্যে যেন ডুবে যাচ্ছে সে। ধীরে ধীরে তাকে গ্রাস করে নিচ্ছে গভীর পানি। তারপরই হঠাৎ এক ঝলক হলুদ আলো ঝট করে যেন আঘাত করলো তার মাথায়। ধীরে ধীরে চোখ খুললো সে। একটা তীব্র হলুদ আলো তার চোখ দু’টোকে প্রায় অন্ধ করে দিয়েছে।
মে ১৩, ২০১৮
দ্য গ্রেট থিফ
পেছনে ফিরলেই সে দেখতে পেতো,একজোড়া চোখ শয়তানি হাসিতে উদ্ভাসিত হয়ে তার চলে যাওয়া দেখছে...এই বয়সী একজনের চোখে যা একেবারেই বেমানান।
মে ১০, ২০১৮
দ্যা গ্রেট থিফ
হঠাৎ করে বিল্ডিংটার চার তলার জানালার দিকে চোখ পড়লো তার,একটা মেয়ে জানালার দিকে মুখ করে মাথা হালকা ঝুঁকিয়ে বই টেবিলে রেখে পড়ছে...মেয়েটার বুকের ক্লিভেজ জামার ফাঁক দিয়ে কিছুটা দেখা যাচ্ছে।কয়েক সেকেন্ড সেদিকে তাকিয়ে সিগারেট টানলো সে
মে ০৮, ২০১৮
ডার্ক টেল
আমার মধ্যে ভীষণ অপরাধবোধ কাজ করতে লাগলো। তারপর আবার তাকে দেখলাম বারে। সে বার বন্ধুদের সাথে মদ খাচ্ছিলাম। সে বিয়ারের গ্লাসের ওপর একটা নীল বিষণ্ণ মারমেইডের মতো লেজ ছড়িয়ে দিয়েছিলো।
মে ০৭, ২০১৮
দ্য গ্রেট থিফ
গড়পড়তা বাংলাদেশীদের চেয়ে একটু বেশিই উচ্চতা ওর । মাথায় অবিন্যস্ত ঘন কালো চুল । মুখ ভর্তি খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি । ওর দেহের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ হলো ওর চোখ জোড়া,ক্যামন যেন মায়ার আবেশ মাখানো ও দুটিতে...যার আমোঘ টানে যেকোনো নারী নিজেকে বিলিয়ে দিতে উন্মুখ হয়ে থাকে। চায়ের স্টলের দিকে এগিয়ে গেল ও।ফিরে এলো একটা কেকে কামড় বসাতে বসাতে।
মে ০৭, ২০১৮
দ্যা গ্রেট থিফ
দরজার দিকে আবার ফিরে গেল ও। নিজের বিছানার পুরোটা হাত দিয়ে আঁতিপাতি করে কী যেন খুঁজতে লাগলো। বিছানার তোষক ওল্টালো। টেবিলের বইপত্র সরাতে লাগলো অস্থির ভাবে। এতক্ষণে বুঝতে পারলো, কী মিস করে গেছিলো ও। বিছানার দিকে আরেকবার অসহায় চোখে তাকালো অনন্ত।
মে ০৪, ২০১৮
অলৌকিক লবঙ্গ
কুয়া খনন স্থগিত করে দেয়া হলো। কারণ ঘটনার আকস্মিকতায় কী করা যায়, কেউ বুঝে উঠতে পারছিলেন না। এছাড়া সন্ধ্যাও হয়ে যায়। সবাই যে যার কাজ করে ঘুমিয়ে পড়লে আমার বাবা-চাচাদের কেউ একজন স্বপ্নে দেখেন, এই জায়গাটিতে কুয়া খনন করা যাবে না। কুয়া খনন করতে হবে অনত্র
মে ০৩, ২০১৮
হাসান বসরির কিস্সা
আমি তো মাতাল, আছাড় খেলে আমার তেমন কিছু হবে না। গায়ে-জামায় একটু কাদা লাগবে, এই যা। কিন্তু আপনি তো দরবেশ। আছাড় খেলে আপনার কাপড়-চোপড় নোংরা হয়ে যাবে। আপনার কত কত শিষ্য-সাগরেদ। তারা সবাই আপনার ওপর নির্ভর করে চলে। আপনিই যদি কুপোকাত হয়ে যান, তবে তাদের অবস্থা কী হবে!
মে ০২, ২০১৮
অভ্যাসবশত
লোকটা মারা গেছে। বউ হঠাৎ খেয়াল করলো, লোকটার ঊরুর একটা মাংসপেশী মাঝেমাঝেই কেঁপে উঠছে। যেন মৃত্যুর হিম শীতলতার মধ্যে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে পড়েছে ওই পেশীটা, এখন মুক্তি চাইছে, দাপাতে চাইছে, আবার ছুটতে চাইছে জীবনের গরম রাস্তায়। ব্যাপারটাতে চমকে উঠলো বউ।
এপ্রিল ৩০, ২০১৮

























