আজ আমার পালা
বাসের পেছন দিকের সিটে বসে, দুই সিটের মাঝখান দিয়ে হাত গলিয়ে দিয়ে, সামনের সিটের এক মেয়ের কামিজ-সালোয়ার ব্লেড দিয়ে কেটে নিতম্ব উন্মুক্ত করে দিলাম! মেয়েটা খেয়ালই করল না ব্যাপারটা! সে একমনে কানে ইয়ারফোন গুঁজে গান শুনছিল। আর আমি মনের সুখে তার ফর্সা নিতম্ব দেখে চরম পুলক অনুভব করছিলাম!
মার্চ ২৬, ২০১৮
নীল রাত্রি
কালীপদ চুর চুর হয়ে দুলছে। আরও জনাপাঁচেক যারা, সকলেই এই শীতের উদোম হাওয়ায় একটু একটু কাহিল হতে হতে এ ওর দিকে ঝুঁকছে। কালীপদ ঝুঁকছে না। সে নিজের মনেই দুলছে। দোল দোল দোলনি, রাঙা মাথার চিরুনি। ঝুপড়িটা ছোট। গঞ্জের কয়েকটা দোকানের পেছনে। ঝুপড়ির একটা কোণার দিকে টেবিল।
মার্চ ২৪, ২০১৮
শবদাহ
এতদিন যে আশায় দিন কেটেছে, সেসব আশা আর নেই। ভালোবাসার নিগূঢ়তম টানও নেই কারও জন্য। এখন কেবল নিজের জন্য বেঁচে থাকার পালা। যে মানুষ অন্যের জন্য বেঁচে থাকে, মিছেমিছি বেলাশেষে তাকে ঠকতে হয়। ঠকে ঠকে এই সে শিখেছে। সুবলের মৃত্যু নিশ্চিত, একথা কতবারই না আত্মীয়-স্বজন তাকে বুঝিয়েছে।
মার্চ ২২, ২০১৮
হকার
এই ট্রেনে প্রতিদিন যাই। প্রতিদিন আসি। একদিনও টিকেট করি না। পচা সাবান, বাজে তেল, নকল দাঁতের মাজন এইগুলি ফেরি করি। আমার জিনিসের উৎকৃষ্টতা নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বক্তৃতা দিই। বোকা প্যাসেঞ্জারদের কেউ কেউ ফাঁদে পা দেয়। ভয়ানক রকম ঠকে। আমি মুচকি মুচকি হাসি, উঃ কী বোকা এই লোকটা!
মার্চ ১৫, ২০১৮
যবনিকা
যুদ্ধ শেষ। যত দূর চোখ যায় কেবল চিতার আগুনের শিখা নজরে আসে। একটা তীব্র চাপা মাংস পোড়ার গন্ধ শ্বাস অবরুদ্ধ করে দ্যায়। চোখের দৃষ্টিকে বেশিক্ষণ স্থির রাখা যায় না। সব যেন কেমন ঝাপসা হয়ে আসে। কী হারায়নি এই যুদ্ধে? উভয় পক্ষ আজ নিঃস্ব-রিক্ত।
মার্চ ১৪, ২০১৮
এবং পথচারী
পকেটে এই মাসের মাইনেটা ছিল, কি জানি কে পকেটে হাত দিয়ে নিয়ে গেল। রাস্তায় অর্ধ মৃত মানুষের পকেটও নিরাপদ নয়
মার্চ ০৮, ২০১৮
তীরন্দাজ
সবুজই লিণ্ডারে বলছিল, সে যাতে নানা কফিশপে না ঘুইরা এ বাসায় আইসা প্রেম করে। কোন কুক্ষণে যে এই কথা বলতে গেছিলো... তারপর একের পর এক লোক নিয়া বাসায় আসা শুরু হইলো। সবুজের বুকশেলফের ফাঁকেই সি.সি. ক্যমেরা। যে কোনও ছাগল অনায়াসে এই ক্যামেরা খুঁইজা বাইর করতে পারার কথা।
মার্চ ০১, ২০১৮
লাল জুতো শাদা মোজা
বারান্দা দিয়ে খুব সাবধানে চারপাশে চোখ রেখে চোরের মতো হেঁটে যাচ্ছে সবুজ আর কী যেন খুঁজছে। হঠাৎ চোখ পড়ে সামনের একটা দরজার কাছে রাখা জুতোর র্যাকের ওপর। সেখানে শাহানার বাচ্চাটার লাল জুতো জোড়া রাখা। ধীর পায়ে র্যাকের কাছে গিয়ে জুতো তুলে নিয়ে ফিরে যেতে থাকে সবুজ।
ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৮
মাতৃত্ব
নাভিটার চারপাশে ক্ষতবিক্ষত, দগদগে। রক্ত পড়ছে। দেখে মনে হচ্ছে কাকগুলো নাভির রগটাকেই বেছে নিয়েছিলো!
ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৮
কী তোমার পরিচয়
রমজান মাসে বেলা দুইটা থেকে ইফতারির আগমুহূর্ত পর্যন্ত লম্বা সময়। অফিস থেকে বাসায় ফিরে, আধঘণ্টার মধ্যে আমার এক কলিগ, সেলিমের বাসার উদ্দেশ্যে উত্তরায় রওনা হই। নীলিমা, আমার স্ত্রী ইফতারির আয়োজনে ব্যস্ত, আর আমার ছয় বছরের কন্যা সুষমা কোনও এক প্রতিবেশীর বাসায়, হয়তো।
ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮

























