নাটা হারুন
যে দিন নাটা হারুনের লাশটা গুলশান লেকের কোন এক উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলের ছিপের আংটায় বিঁধলো আমি কেমন যেন এক মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় পড়ে গেলাম। মরা-পচা গুলশান লেকে কোন পাগল ছিপ ফ্যালে তা নয়
ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮
অপাঙ্ক্তেয়
তীব্র পানির ঝাপটায় গুঙিয়ে উঠল সেহেরা। হাত টেনে চেয়ারের পিছনে বাঁধা, কাত হওয়া ঘাড় ঝুঁকে উঠলো। হা হওয়া মুখে লালা ঝরছে। লাঠি দিয়ে থুতুনি উপরের দিকে তুলে শ্যোন দৃষ্টিতে চোখে চোখ রেখে কর্কশ গলায় তদন্ত কর্মকর্তা জিজ্ঞেস করলো, আসল পরিচয় বল। মুসলিম না অন্য ধর্মের?
ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৮
উড়োচিঠি
এবারের চিঠিটির ভাষায় এমন এক ধরনের ধোঁয়াশার জাল বিস্তার করা ছিল যে, চিঠির প্রেরকই খুনি কীনা সেটা নিয়ে সবার মনে একটা আতঙ্ক তৈরি হয়ে গেল। মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসানো হলো। সার্বক্ষণিক পুলিশ প্রহরা চলতে থাকলো। সন্দেহভাজন দুই ছাত্র এবং এক স্থানীয় ছেলেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঠানো হলো।
ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৮
হেলিকপ্টার
কীসের যেন শব্দ হচ্ছে। দূর থেকে ধীরে-ধীরে কাছাকাছি এগিয়ে আসছে শব্দটা। পাশ ফিরলাম আমি। মনে হলো, মেঘের ভেতর থেকে যেন ছুটে আসছে এই শব্দ। ভেসে-ভেসে আসছে। আমিও ভেসে-ভেসে শব্দের কাছাকাছি যেতে থাকি। তারপর ঘুম ভেঙে যায় আমার।
ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৮
অশরীরী
বাতাস যখন বয়ে গেল তখন ঠিক আওয়াজটি ছিলো ঝড়ের সময় বা জোরে বাতাস হলে যে ধরনের আওয়াজ হয় ঠিক ওই আওয়াজ। তখন আমি চোখ খুলেই দেখি কালো ছায়া লাল আভা, যা বলে বিশ্লেষণ করা যাবে না।
ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৮
রহস্যময়ীর সেমাই
এক বড়ভাই’র কল্যাণে দোতলা ছাদের ওপর সুন্দর কিচেন, এটাচ বাথঅলা এক বিশাল রুম পাইয়া গেসি। প্রথম মাসে কেয়ারটেকার আইলেন। আমারে বুঝাইলেন, দেখেন জাঙ্গাটা খুব রিস্কি। আমি কইলাম, কেমন? কইলেন, এ যেমন ধরেন গত মাসেই সামনের রোডে মার্ডার হইসে। এক্টু সাবধানে। আমি বললাম, আচ্ছা।
ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৮
ভীনদেশি তারা
নিজের সঙ্গে নিজের লড়াইটা এভাবে প্রকট হয় তার, অনির্বাণ যখন থেকে দেশ ছেড়েছে। " এই শহরে আর নতুন কিছু নেই, তাই না ? " প্রশ্নটা মনে মনে অনেকবার করেছে সে অনির্বাণকে, উত্তর দেয়নি অনির্বাণ, শুনতে পেলে নিশ্চয়ই দিতো ।
ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৮
যে তরীতে তুমি নেই
পুরো শহরটা ঘুমিয়ে গেছে। বাতাসে পাতার খসখসে শব্দ ছাড়া আর কোন শব্দ নেই। আকাশে নিভু নিভু তারাগুলো রাত প্রহরী হয়ে শহরটাকে পাহারা দিচ্ছে ।
ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৮
ছেলেটি এসেছিল
ছেলেটি এসেছে... তার আসার কথা ছিল। যেহেতু সে এসেছে তার প্রস্থানটাও নিশ্চিত, চিরন্তন সত্য। ছেলটির হাব ভাব একটু অন্য রকম,ঠিক স্বাভাবিক নয় । হয়ত তার জন্য এটাই স্বাভাবিক। প্রকৃতি তাকে এভাবেই চালনা করছে। প্রকৃতির ঊর্ধ্বে তো কেউ নয়।
ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৮
কিংবদন্তি
ধূসর ছবি তার সামনে। মৃত্যুর ধূসর চোখে চারপাশ তিনি দেখছেন। টের পাচ্ছেন, এই সময় এই রকম যন্ত্রণা পেতে হয়। মারা যাচ্ছেন মানিক বন্দোপাধ্যায়। তার মুখের ওপর ঝুঁকে রয়েছে স্ত্রী কমলা দেবির মুখ। খুব কাঁদছেন মহিলা।
জানুয়ারি ৩১, ২০১৮

























