রাজীব জবরজংয়ের ৩ কবিতা

পাখিরা কীভাবে ওড়ে আকাশে এই ভাবনায় গরিবের ঘোড়ারোগ জেনেও, রুলামিনের শখ ছিল একবার প্লেনে ওঠার

ভালোবাসার সময় গেছে জলে নিজেকে নিয়েছি ঢেলে আকরিক ছাঁচে প্রাচীন বটের নিচে কামারশালার উত্তপ্ত বায়ুর আঁচে

গুজব ছড়িয়ে গেল, কাল থেকে তিনদিন সূর্য উঠবে না দেশে। মানুষ এটাও বিশ্বাস করছে। নিজেকে চালাক ভেবে অন্যকে বলে বেড়াচ্ছে, গুজব, গুজব। এমন কখনো হয় নাকি

দরোজার ওপাশে কেউ নেই, জেনেও তীব্র অপেক্ষার খিড়কিটা খুলে রাখি

তোমাকে এত অনুভব করার পরও তোমার সাথে কোনো কথা নেই আমার/যদি কথা বলতে গিয়ে তোমার প্রতি সব আকর্ষণ নষ্ট হয়ে যায়

চোক্ষের নজর এমনি কইরা একদিন ক্ষইয়া যাবে/জোয়ার ভাটায় পইড়া দুই চোখ নদী হইয়া যাবে/পোড়া চোখে যা দেখিলাম তাই রইয়া যাবে

একটা প্রাচীন দেয়ালের আড়ালে আমি জেরুজালেমে হেঁটে যাই যুগ যুগ ধরে কোনও স্মৃতি ছাড়াই। যেখানে মহাপুরুরষেরা তাদের পবিত্র স্মৃতি নিয়ে বিরাজ করেন... বেহেশতের সিঁড়ি বেঁয়ে অন্ধকার ও হতাশা মিলিয়ে গিয়েছে

যাও পাখি, উড়ে যাও সুনির্ভর ডানায়/পারো তো সঙ্গে নাও আপাত অভিন্ন মাতৃকুল/এতকাল মানুষ ভেবে যারা নিজেদের স্বনির্ভর/চোখে জমিয়ে রেখেছে নিজেদেরই ঘৃণার জল!