রাজীব জবরজংয়ের ৩ কবিতা

শর্ষেফুলের বিস্তৃত বাগান আর মৌমাছির আহ্লাদ ছড়িয়ে তাহারা জমিনে ফুটিয়েছেন বাহারি ফুল হলুদ-বেগুনি লাল নীল, আর আমাদের নারীদের প্রাণে নকশিকাঁথার গান আনমনে

পাথর ও পাখি, বাতাস ও বিমর্ষতাগুলোকে এক করে ফেলাটির খেলাটি শিখতে শিখতে আগাও, আগুন ও জলে হাত পেতে দেওয়ার বিদ্যাটি জেনেই ঘর থেকে বের হও

অতঃপর মাতৃভাষায় আমি তাকে প্রার্থণা করি... যখন জ্ঞানপাপীরা কোলাহল করেন আরবিতে, সংস্কৃতে কিংবা ইংরেজিসহ যাবতীয় অন্য ভাষায়, তারপর নীরবতায় সে আমাকে কবুল করে

আমি ভালোবাসি আমার নদীর বালুচর, শরৎকালে যে নির্জনে চকাচকির ঘর।

অনাহূত ধুলোর সন্ত্রাসে জানালায় উড়ে আসে মেঘের চিরকুট পড়া হয়নি বিভ্রমে

অলৌকিক শক্তি আর বিস্ময়কর কাজ পানি আনা কাঠ কাটা প্রতিদিন কিছুই বিশেষ নেই

জোহরটা আসরের দিকে গড়িয়ে রোদটাকে মিইয়ে দিলে মসজিদের মাইকগুলো বেজে ওঠে শান্ত স্বরে। ঘুম ভাঙতেই মাওলার বদলে রুমের সিলিং দেখে বুঝতে পারি না, বয়সটা বাড়ছে নাকি হাতে থাকা সময়টা কমছে

ইসলামি দিক-নির্দেশনা বিকৃত আজ ভবে/জ্ঞানের মশাল ঊর্ধ্বে তুলে হাঁটবে কে আর তবে?