জুয়েল মাজহারের কবিতা ‘মম প্রিয় বন্ধুগণ’
মম প্রিয় বন্ধুগণ তপ্ত লাল শলাকা শানায়। আর রক্তজবা কানে গুঁজে শব্দ করে ভয়ানক হাসে মাঝে মাঝে বক্ষো’পরে বসে তারা মোর পানে উঁচায় খঞ্জর
জুন ১০, ২০২১
ফররুখ আহমেদের কবিতা
পুরানো মাজারে শুয়ে মানুষের কয়খানা হাড়/শোনে এক রাতজাগা পাখীর আওয়াজ। নামে তার/ঘনীভূত রাত্রি আরো ঘন হ’য়ে স্মৃতির পাহাড়
জুন ১০, ২০২১
নভেরা হোসেনের কবিতা ‘আগুন পাখি’
তোমার জানালায় কৃকলাস ম্রিয়মাণ জলপাই গাছ, সকালের রোদ, শিশুর চিৎকার ছিঁড়ে ফেলছে কুয়াশাচ্ছন্ন রাতের পৃথিবীকে, কবিতা এবং দীর্ঘশ্বাসের বার্তা
জুন ০৯, ২০২১
কাজী নুসরাত শরমীনের ৬ কবিতা
ঘাসের ডগায় জীবনবিন্দু মিইয়ে যাওয়ার আগে, চিকচিকে ধারালো সময় ছুটলো রকেট গতিতে। দুর্ঘটনায় এবড়োখেবড়ো মুখ আর রক্তের ফিনকি দেখছে জড়ো হওয়া লোক, আর ঘাতক ড্রাইভার আপাত নিশ্চিত দূরত্বে লালশাকে মেখে নিচ্ছে ধোঁয়া ওঠা ভাত
জুন ০৮, ২০২১
মোহাম্মদ রফিকের ৩ কবিতা
সে এসেছিল, নাকি আসেনি, ভাবি, জীবন যে একটাই;সাড়া দিয়েছিল, নাকি দেয়নি, মৃত্যু, একবারই দেখা দেয়;
জুন ০৪, ২০২১
আবু তাহের সরফরাজের পাঁচটি কবিতা
যদিও রোদের দিন আমাদের ঘরে/ঘুরেফিরে এসে ঠিকই খেলাধুলা করে/খেলাধুলা শেখে তারা ব্যাকরণ মেনে/ফাঁক পেলে ফাঁকে ফাঁকে নভলেট কেনে
জুন ০৩, ২০২১
আন্না শিয়েরচিন্সকার ১৮টি কবিতা
সেবিকা হিসেবে হাসপাতালে কাজ করতাম যেখানে ওষুধ ও পানি বলতে কিছু নেই। আমি বেডপ্যান বইতাম ভরা থাকতো পুঁজ, রক্ত আর মলমূত্রে। আমি পুঁজ, রক্ত আর মলমূত্র ভালবাসতাম—তারাই ছিল জীবনের মতো একমাত্র জীবন্ত
জুন ০২, ২০২১
কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের ৩ কবিতা
যে জন দিবসে মনের হরষে জ্বালায় মোমের বাতি, আশু গৃহে তার দেখিবে না আর নিশীথে প্রদীপ ভাতি।
মে ৩১, ২০২১
কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ‘বিদ্রোহী’
আমি বিধবার বুকে ক্রন্দন-শ্বাস, হা হুতাশ আমি হুতাশীর। আমি বঞ্চিত ব্যথা পথবাসী চির গৃহহারা যত পথিকের। আমি অবমানিতের মরম বেদনা, বিষজ্বালা, প্রিয় লান্চিত বুকে গতি ফের।
মে ২৪, ২০২১
রথো রাফির কবিতা ‘হৃদয়ের অনুবাদ’
আয়নায় নিজের হৃদয়কেই অনুবাদ করছো তুমি। মেকআপে ঢাকা পড়ছে মুখ, আঁকা হচ্ছে হৃদয়। তুমি জানো, তোমার এ মুখ কী গভীর ভালোবাসি আমি। তবু তুমি চাও, মুখের ওপর দৃশ্যমান হোক তোমার হৃদয় যেন আমি তা এক পলক দেখতে পাই
মে ২৪, ২০২১

























