কাজী জহিরুল ইসলামের আত্মগদ্য ‘আমার বিচিত্র জীবন’

আয়নালের হাত সাপের মতো হামিদার শরীরের ভাঁজে ভাঁজে ঘুরে বেড়ায়। ব্লাউজের বোতাম খুলে দেয় হামিদা। মিউজিয়ামে দেখা নারী মূর্তির উন্নত স্তনের দেখা পায় আয়নাল। হামিদা যেন মিউজিয়ামে দেখা কাঙ্ক্ষিত নারী

হামিদার চোখে বিষদের ছায়া। এছাড়া ভুলেই গিয়েছিলাম আমার মাঝে তোমার ভাই আর কোন আনন্দ পাই কিনা। সংসারের প্রয়োজন তিনি মনে রাখেন। সংসারের দরকারে আমার খেয়াল সে ঠিকই রাখে।

গদ্যেরও প্রাণ আছে। সপ্রাণ গদ্য পাঠকের সাথে কথা কয়। এই গদ্য স্বতঃস্ফূর্ত, তাতে বানিয়ে তোলার ব্যাপার নেই। সে আসে চেতনার গভীর থেকে। মরমের গভীর থেকে নির্গত গদ্য পাঠকের ওপর প্রভাব ফেলে

চাচা জেগে আছে জেনেই পাশে বসে শিলা। আয়নালের শরীরে হাত রাখে। মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলে বাড়ির বাইরে অচেনা জায়গা বলেই হয়তো ঘুম আসছে না তোমার।

বান্ধবীদের মত প্রেমপত্র পেতে, ছেলেবন্ধুর সান্নিধ্য পেতে ইচ্ছে করে। সামিয়া দেখতে বেশ সুন্দরী। ওর পেছনে কতজন ঘুরছে। কিন্ত ওর প্রতি কারো আগ্রহ না দেখে ভেতরে ভেতরে কেমন যেন শূন্যতা লাগে শিলার

হামিদা বেগমের ষোল বছরের সংসার জীবনে ওসমানকে তো বছরে মাত্র মাস দুয়েকের জন্য পেয়েছে। বছরের বাকিটা সময় শুধুই চিঠিপত্রে যোগাযোগ

চিম্বুক পাহাড়ের দেশ থেকে আজ ঢাকার শাহবাগে এসেছেন ম্রো জাতির মানুষেরা। বাঁশি বাজিয়ে, গান গেয়ে তাঁরা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। কিসের প্রতিবাদ?

ভাষা হচ্ছে নদীর মতো। মানুষের মুখে মুখে বয়ে চলেছে নিরবধি। নদীতে শুধু পানি থাকে না। ফেনা থাকে, কচুরিপানা থাকে, খড়কুটো থাকে, লাকড়ি থাকে, গাছগাছড়া থাকে