মারিয়া সালামের গদ্য ‘এক টুকরো জীবন’

নব্বইয়ের দশকে আমি উত্তর আধুনিক ভাষা-আক্রান্ত প্রচুর কবিতা লেখা শুরু করি। এইসব কবিতায় যা থাকে তা হইলো, এন্টি ফর্ম, অর্থের পরিবর্তে অর্থহীনতা, কেন্দ্রের বদলে কেন্দ্রহীনতা

বিরহ যে এত মধুর, আজ তা বুঝলাম। তোমার কথা না ভাবলেও তোমার সৌন্দর্যের জ্যোতি যেন আমায় উদ্ভাসিত করে আছে

বাংলাদেশের তথাকথিত শিক্ষিত ভদ্রলোকদের অস্থিরতা আর খবর বিকৃত করার কিংবা ভুল খবর পরিবেশন করার স্বভাব ধরা পড়বে নানাভাবে

তিনি জনপ্রিয় হবার জন্য সস্তা বক্তব্য দিয়ে মানুষের প্রিয় হবার চেষ্টা করেছেন। আর এই বাংলাদেশের যেহেতু অধিকাংশ মানুষই জিপিএ-পাইপ, সেহেতু তিনি জনপ্রিয় হবার সবচে সহজ রাস্তাটিই বেছে নিয়েছেন।

বিশ্বাস রেখো, পৃথিবীর সবচেয়ে নিষ্ঠুর অত্যাচারও তোমার থেকে আমাকে ফেরাতে পারবে না। না, তোমার থেকে আমাকে বিচ্ছিন্ন করার কোনো শক্তি ভূপৃষ্ঠে নেই। আমাদের ভালোবাসার ভিত্তি নৈতিকতা।

ব্যক্তিগত পর্যায়ে ধর্মপালন কেউ করবে, এটাকে ভালোই বলেন তিনি। একটা পর্যায় পর্যন্ত রুশো নিজে ধর্ম পালনও করতেন। পরে সম্ভবত ডিইস্ট হন। তার মতে, ব্যক্তির এই ট্র‍্যাডিশনাল ধর্ম রাষ্ট্রে ছায়াপাত করা যাবে না। 

গ্রামে দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ। শহরেও তাই। সব জায়গাতেই দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ। ভাবনাহীন মানুষ কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। সবকিছুই যেন উধাও। মন্দ ভালোকে বিতাড়িত করেছে, ভালো মন্দকে। আর জীবন শুধুই প্রবঞ্চনা

জানি না, সংসারজীবন আনন্দের কিনা। ঘর আমি বাঁধতে চেয়েছিলাম, কিন্তু ঘর আমাকে বাঁধতে পারল না। বেশ আছি। তবে মাঝে মাঝে মন ভারি হয়ে ওঠে। অভিনয় দেখতে দেখতে গোটা জীবনটাকেই অভিনয় বলে মনে হয়