অস্ট্রেলিয়ায় সৈকতে আটকে পড়া প্রায় দুশো তিমির মৃত্যু

ছাড়পত্র্র ডেস্ক

প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২

অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়ার পশ্চিম রুক্ষ উপকূলে সমুদ্রতীরে আটকে পড়া প্রায় দুশো পাইলট প্রজাতির তিমির মৃত্যু হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার উদ্ধারকর্মীরা আজ বৃহস্পতিবার এ কথা জানায়।

রাজ্যের বন্য প্রাণী পরিষেবা কার্যক্রমের ব্যবস্থাপক ব্রেন্ডন ক্লার্ক ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, “আগের দিন সৈকতে খোঁজ পাওয়া ২৩০টি তিমির মধ্যে মাত্র ৩৫টি এখনো জীবিত।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা সৈকত থেকে প্রায় ৩৫টি জীবিত প্রাণী উদ্ধার করতে পেরেছি। আজ সকালে আমাদের প্রথম কাজ হবে উদ্ধার অভিযান চালানো এবং উদ্ধার হওয়া এই প্রাণীগুলো সমুদ্রে ছেড়ে দেওয়া।”

ওপর থেকে তোলা ছবিতে দেখা যায়, মসৃণ ও কালো স্তন্যপায়ী কয়েক ডজন তিমি সৈকতজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। সেগুলো তটরেখায় আটকে রয়েছে, যেখানে হিমশীতল দক্ষিণ মহাসাগর বালুকাবেলায় মিলিত হয়েছে। সমুদ্রতীরে আটকে থাকতে দেখার পর স্থানীয় লোকজন তিমিগুলো জীবিত রাখতে কম্বল দিয়ে ঢেকে দেয় এবং প্রচুর পানি ঢালতে থাকে।

দুই বছর আগে ম্যাককুয়েরি হারবারের কাছে প্রায় পাঁচশো তিমি আটকে পড়ে। তাসমানিয়ার হিমশীতল পানিতে তাদের অবমুক্ত করতে কয়েক ডজন স্বেচ্ছাসেবকের কয়েক দিনের পরিশ্রম সত্ত্বেও প্রায় তিনশো মারা তিমি যায়।

ক্লার্ক বলেন, “সর্বশেষ আটকে পড়ার পরিস্থিতি দুই বছর আগের তিমিগুলোর অবস্থার চেয়েও কঠিন। ওই সময় প্রাণীগুলো আরও বেশি পানির মধ্যে ছিল।”

দাপ্তরিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বছরে এ ধরনের তিন শতাধিক প্রাণী সৈকতে উঠে আসে। ২০ থেকে ৫০টি দলবদ্ধ তিমির সৈকতে উঠে আসা অস্বাভাবিক কিছু নয়।

তিমির গণহারে সৈকতে আটকে পড়ার বিষয়ে বিজ্ঞানীদের অভিমত, সৈকতের খুব কাছে চলে আসার পর দলছুট সঙ্গীদের অনুসরণ করতে গিয়ে এমনটা ঘটতে পারে।

পাইলট প্রজাতির তিমি ২০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এগুলো দল বেঁধে থাকতে পছন্দ করে এবং পথ হারিয়ে বিপদে পড়া সঙ্গীদের অনুসরণ করতে পারে।

কখনো কখনো বয়স্ক, অসুস্থ কিংবা আহত তিমিগুলো সাঁতরে তীরে উঠে আসে এবং অন্য সঙ্গীরা তাদের অনুসরণ করলে এমনটা ঘটে থাকে। আটকে পড়া তিমির বিপৎসংকেতে সাড়া দেওয়ার চেষ্টা করে থাকে দলের অন্য সঙ্গীরা।

তবে বড় দল হলে সেটা কয়েকশো তিমিতে গিয়ে ঠেকতে পারে। ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের সাউথ আইল্যান্ডের একটি সমুদ্রসৈকতে প্রায় সাতশো তিমি উঠে আসে। এর মধ্যে ২৫০টির মৃত্যু হয়। সূত্র: এএফপি