জানুয়ারি মাসে ৫৩১টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৪৭

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সারাদেশে ৫৩১টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৫৪৭ জন। আহতের সংখ্যা ১১৪১। এছাড়া একই সময় রেলপথে ৪৩টি দুর্ঘটনায় ৩৪ জন নিহত ও দশজন আহত এবং নৌপথে ১৭টি দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত, ৫৮ জন আহত ও ৩০ জন নিখোঁজ হয়েছে।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য ওঠে এসেছে। এর আগের মাস অর্থাৎ ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের তুলনায় জানুয়ারি মাসে সড়ক দুর্ঘটনার হার তিন দশমিক ৯১ শতাংশ এবং নিহতের হার দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ বেড়েছে।

দেশের সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে তারা এ প্রতিবেদন তৈরি করে। সোমবার সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই প্রতিবেদন তুলে ধরে সংগঠনটি।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির পরিসংখ্যান মতে, জানুয়ারি মাসে সড়কে দুর্ঘটনার শিকার ১৬১ পথচারী, ১৯১ চালক, ৯১ পরিবহন শ্রমিক, ১৪৬ শিক্ষার্থী, ১০ শিক্ষক, ১২ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৩৯ নারী, ৫৫ শিশু, ২ সাংবাদিক, ৫ চিকিৎসক, ১ প্রকৌশলী, ১ মুক্তিযোদ্ধা এবং ১২ জন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে।

এদের মধ্যে নিহত হয়েছে ১৪০ চালক, ১৩৭ পথচারী, ৮২ নারী, ৬৮ ছাত্রছাত্রী, ৪৩ পরিবহন শ্রমিক, ৩৭ শিশু, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৯ নেতাকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৭ সদস্য, ৪ চিকিৎসক, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাতজন শিক্ষক এবং একজন প্রকৌশলী।

পরিসংখ্যান অনুয়ায়ী, জানুয়ারি মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয় ১৬ জানুয়ারি। এদিনে ৩২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৮ জন নিহত এবং ৭৩ জন আহত হয়। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয় ২৬ জানুয়ারি। এদিন আটটি সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত এবং ৮ জন আহত হয়।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি এসব সড়ক দুর্ঘটনার বেশকিছু কারণ উল্লেখ করেছে। এগুলো হলো, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, বিপদজনক অভারটেকিং, রাস্তাঘাটের ক্রটি, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা, চালকের অদক্ষতা, চলন্ত অবস্থায় মোবাইল বা হেডফোন ব্যবহার, মাদক সেবন করে যানবাহন চালানো, রেলক্রসিং ও মহাসড়কে হঠাৎ ফিডার রোড থেকে যানবাহন ওঠে আসা, রাস্তায় ফুটপাত না থাকা বা ফুটপাত বেদখলে থাকা, ট্রাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগ এবং ছোট যানবাহন বৃদ্ধি।