তানভীর রাতুলের খুদে গল্প ‘ফিল্টার’

প্রকাশিত : মে ১১, ২০২৩

ঘসেটি বেগম সবার সামনেই ফাঁক পেয়ে সুযোগমতো চ্যাট করছে মীর জাফরের সাথে, তা দু’মিনিটও হয়নি। আর এখনই `খেলা হবে` বা `বাল (রোমান হরফে) ফালাও`-এর মতো শব্দবন্ধের পর্যায়টা এসেছে কি আসেনি, এ প্রশ্নটা চাইলে কেউ ভাবতেই পারে।

 

ঘসেটি বেগম মীর জাফরের সামনের চেয়ারটায় গিয়ে বসল। পোশাকে জড়তা নেই। বরং আশপাশের টেবিলের শ্মশ্রুমণ্ডিত থেকে গোঁফ বিয়োগ দেওয়া মানুষগুলোই কেন জানি হাঁটু আর ওপরের চামড়াটুকুতে দৃষ্টিনিবদ্ধ করছে। মীর জাফর অবশ্য উঠে দাঁড়িয়ে চেয়ার টেনে ধরার ভদ্রতাটা ঠিকই করেছে। আড়চোখে কিছু একটা চেয়ে দেখুক, সেটা কিন্তু ঘসেটি নিজেই চাচ্ছিল।

 

মীর জাফর নিজের চেয়ারে থিতু হতে না হতেই ঘসেটি বেগম একদম সরাসরি চোখে চোখ রাখে। এবং এর কিছুক্ষণ পরেই, তারা একে অপরকে টেবিলের নিচে লাথি মারে, নাকি অন্য কিছু? কথা হওয়ার কথা। অন্তর্বাস ছুঁড়ে মারার কথা না। কিন্তু সে মারলোই। মীর স্থির না থেকে শুকে দেখে।

 

ঘসেটি পাশের থলিটায় হাত ঢুকিয়ে একটা গোল রাবারের স্বচ্ছ চারকোণা প্যাকেট বের করে টেবিলের ওপর স্থাপন করে আঙুল নাড়ায়। প্যাকেটে কোনো একটা মেয়াদ-উত্তীর্ণের তারিখ লেখা দেখা যায়।