নামাজে মন ফেরানো

শেষ পর্ব

শারিন সফি অদ্রিতা

প্রকাশিত : জুলাই ২১, ২০২০

সবাই মিলে একটা ছোট একসারসাইজ করি চলেন। নিচে তিনটা দুয়া দিচ্ছি। আমরা দুয়াগুলো পড়ার সময় প্রতিটা শব্দ অন্তর দিয়ে অনুভব করার চেষ্টা করবো। আমরা খেয়াল রাখবো যে, আল্লাহর কাছে দুইহাত তুলবার সময় আমাদের অন্তরগুলো কী নরম হচ্ছে? চোখ দুটো কী আর্দ্র হচ্ছে?

চলুন শুরু করি বিসমিল্লাহ...
এক.
হে আল্লাহ, আপনি যাদেরকে হিদায়াত করেছেন তাদের মধ্যে আমাকেও হিদায়াত দিন, আপনি যাদেরকে নিরাপত্তা প্রদান করেছেন তাদের মধ্যে আমাকেও নিরাপত্তা দিন। আপনি যাদের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছেন, তাদের মধ্যে আমার অভিভাবকত্বও গ্রহণ করুন, আপনি আমাকে যা দিয়েছেন তাতে বরকত দিন। আপনি যা ফয়সালা করেছেন তার অকল্যাণ থেকে আমাকে রক্ষা করুন। কারণ আপনিই চূড়ান্ত ফয়সালা দেন, আপনার বিপরীতে ফয়সালা দেয়া হয় না। আপনি যার সাথে বন্ধুত্ব করেছেন সে অবশ্যই অপমানিত হয় না (এবং আপনি যার সাথে শত্রুতা করেছেন সে সম্মানিত হয় না)। আপনি বরকতপূর্ণ হে আমাদের রব্ব! আর আপনি সুউচ্চ-সুমহান।

দুই.
হে আল্লাহ, আমি আপনার সন্তুষ্টির মাধ্যমে আপনার অসন্তুষ্টি থেকে আশ্রয় চাই, আর আপনার নিরাপত্তার মাধ্যমে আপনার শাস্তি থেকে আশ্রয় চাই। আর আমি আপনার নিকটে আপনার (পাকড়াও) থেকে আশ্রয় চাই। আমি আপনার প্রশংসা গুনতে সক্ষম নই; আপনি সেরূপই, যেরূপ প্রশংসা আপনি নিজের জন্য করেছেন।

তিন.
হে আল্লাহ, আমরা আপনারই ইবাদত করি; আপনার জন্যই সালাত আদায় করি ও সিজদা করি; আমরা আপনার দিকেই দৌড়াই এবং দ্রুত অগ্রসর হই; আমরা আপনার করুণা লাভের আকাঙ্ক্ষা করি এবং আপনার শাস্তিকে ভয় করি। নিশ্চয় আপনার শাস্তি কাফেরদেরকে পাবে। হে আল্লাহ, নিশ্চয়ই আমরা আপনার কাছে সাহায্য চাই, আপনার কাছে ক্ষমা চাই, আপনার উত্তম প্রশংসা করি, আপনার সাথে কুফরি করি না, আপনার উপর ঈমান আনি, আপনার প্রতি অনুগত হই, আর যে আপনার সাথে কুফরি করে আমরা তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করি।

কেমন অদ্ভুত প্রশান্তি লাগে না দুয়াগুলো পড়ে? অথচ অর্থ না জানলে অজানা ভাষায় দুয়া পাঠ করলে সেটা নিছক শব্দ-মাত্র হয়ে ঠোঁটের উপর রয়ে যায়। অন্তরে প্রবেশ করতে পারে না। এই তিনটি দুয়া বিতর নামাজের দুয়া কুনুত হিসেবে হিসনুল মুসলিম দুয়ার বইটাতে এসেছে। আল্লাহ আমাদের দুয়া এবং ইবাদতগুলোকে অন্তর থেকে নিঃসরিত হয়ে আবার অন্তরেই ফিরে আসার তাওফিক দিক।