পর্নো দেখা দুঃস্বপ্নের আরেক নাম: বিলি আইলিশ

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : ডিসেম্বর ২৫, ২০২১

পর্নো দেখা দুঃস্বপ্নের আরেক নাম বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গীতিকার ও গায়িকা বিলি আইলিশ। আজ শনিবার ২০ বছরে পা রাখলেন তিনি। এ উপলক্ষে সোমবার সাইরাস-এক্সএম রেডিওর ‘হাওয়ার্ড স্ট্যান শো’তে আমন্ত্রণ জানানো হয় তাকে। সেখানে পর্নো দেখার অভিজ্ঞতা তিনি তুলে ধরেন।

বিলি আইলিশ বলেন, “আমি মনে করি, পর্নোগ্রাফি একটি অসম্মান। সত্যি কথা বলতে, আমি অসংখ্য পর্নো দেখেছি। আমি পর্নো দেখা শুরু করেছিলাম ১১ বছর বয়সে।”

তিনি আরও বলেন, “আমি মনে করি, এটা আমার মাথা খেয়ে দিয়েছিল। আমি এত বেশি পর্নো দেখেছি যে, এখন নিজেকে বিধ্বস্ত লাগে। পর্নো দেখা দুঃস্বপ্নের আরেক নাম। কারণ, আমার দেখা কিছু পর্নোর কনটেন্ট ছিল উগ্র আর অবমাননাকর।”

বিলি আইলিশ বলেন, “আমি যখন প্রথম প্রথম সঙ্গম করি, তখন অনেক মন্দ ব্যাপারকেও না বলতে পারিনি। কারণ এগুলোকেই আমি আকর্ষণীয় ভেবেছিলাম। আর এখন খ্যাতির জন্য কারো সঙ্গে একান্তে রোমাঞ্চ করা আমার কাছে দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

বিলি আইলিশ বেড়ে উঠেছেন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে। ডার্ক লিরিকের জন্য তিনি দারুণ জনপ্রিয়। নিজের দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘হ্যাপিয়ার দেন এভার’-এর ‘মেল ফ্যান্টাসি’ গানটি মূলত তার অতীত জীবনের একটি অধ্যায় বর্ণনা করেছে।

এই গানের লাইন থেকেই জানা যায়, শৈশবে বাড়িতে তার একা থাকার মুহূর্তগুলো। এই নিঃসঙ্গতাই তাকে পর্নো দেখার ইন্ধন জোগায়। এর প্রভাব পড়ে তার ভঙ্গুর প্রেমের সম্পর্কেও।

বিলি আইলিশ ঢোলাঢালা পোশাক পরে স্টেজ পারফর্ম করতে শুরু করেছিলেন এই ভেবে যে, কেউ যেন তার শরীর নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে না পারে। তিনিই ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি, যিনি একই বছরে শীর্ষ চারটি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছেন। এরই মধ্যে তিনি জয় করেছেন সাতটি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান