
বেশ্যাকন্যা
পর্ব ৫৫
সরদার মেহেদী হাসানপ্রকাশিত : এপ্রিল ২৭, ২০১৮
আমি বললাম, হাসছি কোথায়? হাসিনি তো।
সিমলা বলল, মসকরা করো?
আরে বাবা, মসকরা করব কেন, তুমি কি?
আমি কি? বলো, আমি কি?
তুমি কি! আসলেই তো, তুমি কি? টেস্ট না করে কিভাবে বলি?
টেস্ট করো না কেন? আমি কি নিষেধ করেছি?
টেস্ট করব?
কেন? মুখে তুলে দিতে হবে?
না না, প্রয়োজন নেই। আমি এমনিতেই পারব, দাও টেস্ট করি।
নাও, খেয়ে টেস্ট করো।
একি বন্ধু? তোমারটা এমন কেন?
আমারটা মানে?
তোমারটা মানে, তোমার হাতের জুসের কথা বলছি।
তো কি হইছে? সমস্যা কি?
সমস্যা কি মানে? মালটা ঢিলা কেন?
মাগিপাড়া আইছো, ঢিলা পাবা নাকি টাইট পাবা?
আরে বাবা, ঢিলা-টাইট কি মাগিপাড়ার উপর নির্ভর করে নাকি?
তাহলে ঢিলা ঢিলা কও ক্যা?
ধেত তেরি, তোমার জুসের বোতলের ছিপি ঢিলা কেন, মানে লুজ কেন?
আমারে জিগাও ক্যা? দোকানদারকে গিয়ে জিগাও?
জুস আনলে তুমি, আর জিগাইতে যাব আমি? মসকরা চো...?
চো... কখন? আমি তো জুস আনতে গেছিলাম।
হ্যাঁ, তুমি জুস আনতে গেছিলা বলেই তোমারে প্রশ্ন করছি, জুসের বোতলের ছিপি ঢিলা কেন? তুমি কি জুস খেয়েছো?
জুস খাব কেন? বোতল কি খালি হইছে? বোতল তো ভর্তি, নাকি?
বন্ধু তোমার মধ্যে কিন্তু বোতল ঢুকিয়ে দিতে ইচ্ছে করছে, তুমি কিন্তু মজা লইতাছো...
হা হা হা... বন্ধু? তুমি ক্যামনে বুঝলা আমি জুস খাইছি?
হা হা হা... বুঝবো না?
এইটা এক ধরনের মজা...
এটা এক ধরনের খৈইল করা...
এখানকার কিছু কিছু দোকানদারদের মাঝে এ ধরনের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। আপনি তাদের দোকানে যাবেন। জুস জাতীয় কোনও পানীয় চাইবেন। আপনি পরিচিত, তাহলে একরকম ব্যবহার। আপনি অপরিচিত, আপনার সাথে আর একরকম ব্যবহার। আপনাকে জুসের বোতল দেবে। ছিপি খুলবে। ছিৎ কিংবা হিসস্ শব্দ শুনবেন। মনে হবে নতুন জুসের বোতলের ছিপি খুলে দিয়েছে। আসলে আপনাকে নকল জুসের বোতল ধরিয়ে দিয়েছে। এটা তাদের ঐতিহ্য। এটি আগেও আলোচনা করেছি। এটাকে তারা খৈইল করা বলে। আবার কখনো কখনো যৌনকর্মীরা তাদের নতুন খদ্দেরকে বোকা বানানোর জন্যও এমন করে থাকে। এদের প্রণালিটা একটু সরল। তারা দোকান থেকে জুস কিনে তা থেকে নির্দিষ্ট পরিমানে জুস খেয়ে তাতে পুনরায় নর্মাল পানি দিয়ে ভরে নিয়ে গিয়ে খদ্দেরের হাতে দ্যায়। নতুন খদ্দের বলে অনেকেই কি বলবে না বলবে বুঝতে পারে না। তাই তারা এ কাজটি অনেক সময় মজা নিয়েই করে। তবে এর সংখ্যা কম। আজকে সিমলা আমাকে বোকা বানানোর জন্য এই কাজটি করেছে। আমি জানি সে কি করেছে, সে আমাকে বিভিন্ন কথা বলে বোকা বানানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু বোকা বানাতে না পেরে সে হেসে ফেলেছে।
সিমলা বলল, তুমি কি এই জুস খাবে না?
খাওয়া কি ঠিব হবে?
বন্ধু তুমি খাও।
তুমি তোমার মুখ দেয়া জুস আমাকে খাওয়াতে চাচ্ছো?
সরি বন্ধু, ভুল বুঝো না। আমি বোতল থেকে জুস খেয়েছি কিন্তু তা দোকানের গ্লাসে ঢেলে নিয়ে খেয়েছি। ইচ্ছে ছিল তোমাকে বোকা বানাবো। কিন্তু তোমার কাছে ধরা খেয়ে গেলাম।
আমি মুচকি হেসে বললাম, তুমি বোতলে মুখ লাগিয়ে খেলেও আমি জুস খেতাম। কারণ আমি তোমাকে আমার একজন ভালো বন্ধু হিসেবে দেখি। সুতরাং গ্লাসে জুস ঢালো। খেতে খেতে কথা বলি। আচ্ছা সিমলা, তোমার বাসায় ঢোকার সময় দুটা কম বয়সী মেয়েকে দেখলাম, কে?
লোভ হচ্ছে?
হা হা হা... কোনো কিছু জানতে চাইলেই কি লোভ হচ্ছে বুঝায়? লোভ তো হচ্ছে তোমাকে দেখে।
সত্যি, আমাকে দেখে তোমার লোভ হচ্ছে?
না
তাহলে বললে যে...
হ্যাঁ। প্রথমবার বলেছি দ্বিতীয়বার বলতে চাই না। উঁচু পাহাড়ের উপরে উঠে প্রকৃতির বিশালতা দেখে যে কেউই অতি ভালো লাগায় আকাশে উড়তে চাইবে। তবে অতি উন্মাদনায় মানুষের মৃত্যুও ঘটতে পারে। তাই আকাশের শূন্যে ওড়ার আগে ভালোভাবে চিন্তা করে নেয়া উচিৎ। আচ্ছা, মেয়েগুলির ব্যাপারে কিছু বললে না...
মেয়েগুলি কিন্তু বেশ সুন্দরী। বয়সও অনেক কম।
হাঁ। মেয়ে দুটি বেশ সুন্দরী, এত অল্প বয়সেই কি তারা গেট করে?
চলবে