‘ভারত বর্জন প্রচারণায় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হবে না’

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : এপ্রিল ১৭, ২০২৪

ভারত বর্জন প্রচারণায় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হবে না বলে জানিয়েছেন ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। মঙ্গলবার অনলাইন সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান। শ্রিংলা বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার ছাড়াও থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।

শ্রিংলা বলেন, “ভারতের পররাষ্ট্রনীতির লক্ষ্য সব সময় দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি করা। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক সন্তোষজনক পর্যায়ে আছে। এ সম্পর্কের ইতিবাচক আবহকে কাজে লাগিয়ে একে আরও এগিয়ে নিতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ ও মালদ্বীপে ‘ভারত বর্জন’ প্রচারণায় ভারত চিন্তিত নয়। বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে ভারতের প্রতি ‘খুব শক্তিশালী ও ইতিবাচক সম্পর্ক’ আমি দেখতে পেয়েছি।”

হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, “আমি দেড় দশকে খুব কাছ থেকে কাজ করেছি। আমি খুবই নিশ্চিন্তে বলতে পারি, এই দুই দেশের (বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ) মানুষেরই ভারতের প্রতি অত্যন্ত দৃঢ় ও ইতিবাচক সম্পর্ক ও দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ পর্যটন ও চিকিৎসার উদ্দেশ্যে এবং উচ্চশিক্ষার জন্য ভারতে ভ্রমণ করে। ভারতের শাক-সবজি, ডিম থেকে প্রতিটি পণ্য মালদ্বীপে যায়। ভারতের দেওয়া ঋণের ৫০ শতাংশই পায় বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলো। এ দেশগুলো কোভিড টিকা বিতরণেও অগ্রাধিকার পেয়েছে।”

উল্লেখ্য, ২০ মার্চ ভারতীয় পণ্য বর্জনের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। এই ঘোষণা দিয়ে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সমালোচনার মধ্যে পড়েন তিনি। পরদিনই রিজভী বলেন, এটি তার ব্যক্তিগত মতামত।

এরপর ২৫ মার্চ বিএনপির স্থায়ী কমিটিতেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। দলের নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, এ ধরনের ঘোষণা কোনো রাজনৈতিক দলের হতে পারে না। সামাজিক আন্দোলনকে রাজনৈতিক রং দেওয়ার সমালোচনা করেন তারা।