মহাশ্বেতা দেবীকে নিয়ে নির্মিত হচ্ছে সিনেমা

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : জানুয়ারি ০৩, ২০২২

কথাসাহিত্যিক ও মানবাধিকার আন্দোলনকর্মী মহাশ্বেতা দেবীর জীবন ও সংগ্রাম নিয়ে নির্মিত হচ্ছে সিনেমা। এতে মহাশ্বেতার চরিত্রে রূপদান করছেন গার্গী রায়চৌধুরী।

ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশনের অর্থায়নে অরিন্দম শীল পরিচালিত ছবিটির নাম ‘মহানন্দা’। বছরের প্রথমদিনেই সামনে এলো ছবির পোস্টার। পোস্টারে মহাশ্বেতা দেবীর রূপে দেখা গেল গার্গীকে।

২০২০ সালে ছবির ঘোষণা হয়েছিল। ২০২১ সালের গোড়ার দিকে ছবির শ্যুটিং শুরু হলেও করোনার সংক্রমণে তা বন্ধ হয়ে যায়। জুন মাস থেকে ফের শুরু হয় ‘মহানন্দা’র শ্যুটিং। অবশেষে নতুন বছরে এলো আনুষ্ঠানিক পোস্টার।

অরিন্দম শীল জানিয়েছেন, সিনেমাটিতে ‘ঝাঁসীর রাণী’ উপন্যাসটির ভূমিকা থাকবে। এ উপন্যাস লেখার সময় মহাশ্বেতা দেবী ঝাঁসির বিস্তীর্ণ এলাকা ঘুরে মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় আদিবাসী সমাজের সঙ্গে তার যোগসূত্র তৈরি হয়েছিল। মানবাধিকার রক্ষাতেও তার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল। সেসবই এই সিনেমায় উঠে আসবে।উল্লেখ্য, ১৯২৬ সালের ১৪ জানুয়ারি ব্রিটিশ-শাসিত অবিভক্ত ভারতের ঢাকায় জন্ম হয় মহাশ্বেতা দেবীর। তার বাবা ছিলেন কল্লোল আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত বিখ্যাত কবি মনীশ ঘটক। বিখ্যাত চিত্রনির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের ভাইঝি ছিলেন মহাশ্বেতা দেবী। তার স্বামী নাট্যকার বিজন ভট্টাচার্য ছিলেন ভারতে আইপিটিএ আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ।

মহাশ্বেতা দেবীর লেখা হাজার চুরাশির মা, তিতুমীর, অরণ্যের অধিকার ইত্যাদি অবিস্মরণীয় রচনা হিসেবে বাংলা সাহিত্যে স্বীকৃত। তার লেখা উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে ‘রুদালি’র মতো কালজয়ী সিনেমা।

১৯৬২ সালে মহাশ্বেতা দেবী ও বিজন ভট্টাচার্যের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। সেসময় ছেলে নবারুণ ভট্টাচার্যের কথা ভেবে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন মহাশ্বেতা দেবী। তিনি আত্মহত্যাও করতে যান। যদিও চিকিৎসকদের চেষ্টায় বেঁচে যান।

মহানন্দা ছবিতে মহাশ্বেতা দেবী ও বিজন ভট্টাচার্যের পাশে নবারুণ ভট্টাচার্যের চরিত্রটিও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে।