মিথ আর মৃত্তিকাবর্তী মানুষের গল্প ‘বানিয়াশান্তার মেয়ে’

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : জানুয়ারি ২০, ২০২০

যমের ভয়ে জেগে থাকতে থাকতে চরজনমের ক্লান্ত মানুষেরা যখন ঘুমিয়ে পড়ে, অমনি হানা দেয় সমুদ্র। মানুষজন নিয়ে গোটা দ্বীপ তলিয়ে যায় সমুদ্রগর্ভে। বেঁচে থাকে শুধু একজন।

কীভাবে বাঁচল? সাজু আটকে পড়ে ট্রেনের বাথরুমে। সে যখন বাঁচার আশা ছেড়ে দেয়, জীবনের মশাল হাতে সামনে এসে দাঁড়ায় স্টেশনের এক যৌনকর্মী।

চর কুকরী মুকরী শাসন করেন মিথের মানুষ কালাপীর। নিশিরাতে মানুষ আর পশুপাখিরা যখন ঘুমায়, বন থেকে তিনি বেরিয়ে আসেন। রাতভর পাহারা দেন চর। একদিন জলের ওপর দিয়ে হেঁটে তিনি চলে যান দূর সমুদ্রে। বদলে যায় চরের চালচিত্র। কেন বদলে যায়?

ওদিকে বানিয়াশান্তা পতিতাপল্লির আঁখি হাসার সময় সাগরের মনে পড়ে যায়, শীত ঋতুর পাতা ঝরার দৃশ্য। আঁখিকে বিয়ে করে বাড়িছাড়া, সমাজছাড়া হলেও হাল ছাড়ে না সাগর, সমাজকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে হাঁটতে থাকে গন্তব্যের দিকে।

এমনই সব গল্প নিয়ে ‘বানিয়াশান্তার মেয়ে’, কথাশিল্পী স্বকৃত নোমানের চতুর্থ গল্পগ্রন্থ। ‘বানিয়াশান্তার মেয়ে’ গ্রন্থের গল্পগুলো পড়ার সময় মনে হয়, গল্পকার সমুদ্রের গভীর তলদেশ থেকে কিংবা মাটির গভীর থেকে একটি একটি করে মুক্তোদানা তুলে ধরিয়ে দিচ্ছেন পাঠকের হাতে।

স্বকৃত নোমান এই গল্পগ্রন্থেও রেখেছেন তার অনন্যতার স্বাক্ষর। ‘বানিয়াশান্তার মেয়ে’ বইটি পাওয়া যাচ্ছে পিবিএসসহ সারাদেশের বই বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে। অর্ডার করা যাবে অনলাইনেও http://bit.ly/Baniyashanta। এছাড়া অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০-এ পাঞ্জেরীর প্যাভিলিয়নে পাওয়া যাবে বইটি। প্যাভিলিয়ন নং ১৯।

একুশে বইমেলা ২০১৮