
মেয়েদের বাড়ি হয় না
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : জানুয়ারি ৩০, ২০১৮
বলা হয়, নারীর ক্ষমতায়নের জন্য দরকার আর্থিক স্বাবলম্বিতা। কিন্তু একজন নারী স্বনির্ভর হয়েও নিস্তার পায় না পুরুষতান্ত্রিক আর পুঁজিবাদের নোংরামি থেকে। স্বামীর অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য যখন সে সংসার থেকে বেরিয়ে আসে, তাকে চারপাশ থেকে ঘিরে ধরে ষোড়শীপাস। অক্টোপাসের দ্বিগুণ প্যাঁচে।
শামা আরজু চমৎকার ভাষাভঙ্গিতে এ সব সমস্যা তুলে ধরেছেন তার ‘মেয়েদের বাড়ি হয় না’ বইতে। কোথায় যাবে মেয়েরা? স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়ি? না, সেখানেও থাকার জো নেই। বাবা, মা,ভাই বোন সবাই কেমন রাতারাতি অচেনা হয়ে যায়। সম্মানবোধ নিয়ে সেখানে থাকার আর কোনও উপায় থাকে না। ভাইয়ের বাড়ি গেলে মনে হয়, বোন না হয়ে শালী হলেও আরও ভালো হতো। যাবে কই! ছেলের বাড়ি? পাবলিক প্রসিকিউটরের মাকে দাঁত মাজার জন্য ছেলেবউ একখানা পুরনো টুথব্রাশ গরম জলে সিদ্ধ করে দিয়েছে। সুমনার মাকে বিছানা নষ্ট করবে বলে মাত্র তিন লহমা ভাত খাওয়ানো হয় একবেলায়।
যে মা সারাক্ষণ পানি খেত, তাকে সারাটা দিনে আধাগ্লাস পানি খাওয়ানো হয়। মেয়েদের কোনও বাড়ি হয় না। কালো টাকার মালিকেরা স্ত্রীদের নামে বাড়ি বানায়। কিন্তু সে বাড়ি নির্বোধের। মেয়েদের আসলেই কোনও বাড়ি হয় না।