
রেজা ঘটকের গদ্য ‘মধ্যপ্রাচ্য সমস্যার শুরুর ইতিহাস’
পর্ব ১
প্রকাশিত : জুন ২৩, ২০২৫
১৯১৮ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে পৃথিবীর মানচিত্রে বেশ রদবদল হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ফলাফল হিশেবে তখনকার পরিবর্তিত বিশ্ব ব্যবস্থায় বেশ কয়েকটি সাম্রাজ্যের আধিপত্য বিস্তারেও নতুনত্ব তৈরি হয়। বিশেষ করে জার্মানি, ব্রিটিশ, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, রাশিয়া, অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান ও অটোমান সাম্রাজ্যে বেশ পরিবর্তন আসে। একদিকে রুশ বিপ্লব, অন্যদিকে অটোমান সাম্রাজ্যের পতন হলে বেশ কয়েকটি দেশ সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে স্বাধীনতা লাভ করে।
জার্মান, রুশ, অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান ও অটোমান সাম্রাজ্যের পতনের ফলে তখন পূর্ব ইউরোপও মধ্যপ্রাচ্যে বেশ কয়েকটি নতুন দেশের সৃষ্টি হয়। কিন্তু সেসকল দেশে আবার নতুন করে সংখ্যাগরিষ্ঠ ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগত অসংখ্য দ্বন্দ্ব ও শত্রুতা দেখা দেয়। কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর অটোমান সাম্রাজ্যের পতন ও বিভাজনের ফলে মধ্যপ্রাচ্যে ব্রিটেন ও ফ্রান্সের মতো পশ্চিমা শক্তির নতুনভাবে যেমন আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয় তেমনি আধুনিক আরব বিশ্ব ও তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের সৃষ্টি হয়। কার্যত তখন অটোমান সাম্রাজ্যের পতন হলেও নতুন বিশ্ব ব্যবস্থায় নতুন দেশগুলো ব্রিটিশ ও ফ্রান্সের অধীনে এক ধরনের ডোমিনিয়ান দেশ হিশেবে থেকে যায়।
ক. ব্রিটিশ আধিপত্যবাদ
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর নবগঠিত লীগ অফ নেশনসের ম্যান্ডেটের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ লাভ করে ব্রিটেন। এর মধ্যে ছিল প্যালেস্টাইন, মেসোপটেমিয়া (পরবর্তীতে ইরাক), ভূমধ্যসাগর ও জর্ডান নদীর মধ্যবর্তী উপকূলীয় অঞ্চল, যা ট্রান্সজর্ডান নামে পরিচিত। লীগ অফ নেশনসের ম্যান্ডেট দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটেনকে এসব অঞ্চলের প্রশাসনিক কর্তৃত্ব প্রদান করে।
ব্রিটেনের কৌশলগত স্বার্থকে সুনিশ্চিত করতে বিশেষ করে ভারতে সাথে বাণিজ্য পথ সুরক্ষিত করা এবং পারস্য উপসাগরে তার প্রভাব রক্ষা করার জন্য লীগ অফ নেশনসের ম্যান্ডেটের মাধ্যমে এই অঞ্চলে ব্রিটেন নতুনভাবে প্রভাব বিস্তার শুরু করে।
১. প্যালেস্টাইন: প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার শর্তে একদিকে ফিলিস্তিনের জন্য ব্রিটিশ ম্যান্ডেট প্রতিষ্ঠিত হয়। যার উদ্দেশ্য ছিল মূলত একটি ইহুদি জাতীয় আবাস তৈরি করা এবং পাশাপাশি বিদ্যমান আরব জনগোষ্ঠীর অধিকারকেও সম্মান করা।
২. ইরাক: মেসোপটেমিয়ার জন্য ব্রিটিশ ম্যান্ডেট প্রতিষ্ঠিত হয় এবং শরিফ হুসেনের (যিনি অটোমান সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে আরব বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন) পুত্র ফয়সালকে ইরাকের রাজা হিসেবে অধিষ্ঠিত করা হয়।
৩. ট্রান্সজর্ডান: ভূমধ্যসাগর ও জর্ডান নদীর মধ্যবর্তী উপকূলীয় অঞ্চল, যা ট্রান্সজর্ডান নামে পরিচিত, সেখানে শরিফ হুসেনের আরেক পুত্র আবদুল্লাহকে ট্রান্সজর্ডানের নিয়ন্ত্রণ দেওয়া হয় এবং যা ব্রিটিশ ম্যান্ডেটের অধীনে ছিল।
খ. ফরাসি আধিপত্যবাদ
অন্যদিকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর লীগ অফ নেশনসের ম্যান্ডেট নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে, বিশেষ করে সিরিয়া ও লেবাননের নিয়ন্ত্রণ লাভ করে ফ্রান্স। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর সিরিয়া ও লেবানন কার্যত লীগ অফ নেশনসের ম্যান্ডেটের ছদ্মবেশে তৈরি করা দুটি ফরাসি আশ্রিত রাজ্যে পরিণত হয়।
ফলে ফরাসি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের সাথে সাথেই সেখানে তারা স্থানীয় সশস্ত্র প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়। ফলে আরব জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ফ্রান্স লীগ অফ নেশনসের ম্যান্ডেট অঞ্চলটিকে লেবানন এবং ৪টি উপ-রাজ্যে বিভক্ত করে। বিশেষ করে আরব জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তখন সিরিয়াকে কয়েকটি ছোট ছোট ৪টি রাজ্যে বিভক্ত করেছিল ফ্রান্স।
এছাড়া লীগ অফ নেশনসের ম্যান্ডেটের বাইরে মিশরসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অংশেও ফ্রান্সের ঐতিহাসিক ও প্রশাসনিক প্রভাব ছিল। যেখানে ব্রিটিশ রাজনৈতিক বিরোধ সত্ত্বেও ফরাসি আইনি ও সাংস্কৃতিক প্রভাব বজায় ছিল।
গ. ডাচ আধিপত্যবাদ
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর মধ্যপ্রাচ্যে কোনও ডাচ-অধ্যুষিত দেশ ছিল না। যুদ্ধের সময় নেদারল্যান্ডস নিরপেক্ষতা বজায় রেখেছিল এবং ডাচ ইস্ট ইন্ডিজের (বর্তমান ইন্দোনেশিয়া) ওপর তার ঔপনিবেশিক প্রচেষ্টাকে কেন্দ্রীভূত করেছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর মধ্যপ্রাচ্য মূলত ব্রিটিশ ও ফরাসি ম্যান্ডেটে বিভক্ত ছিল এবং নেদারল্যান্ডসের এই অঞ্চলে কোনও উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি বা নিয়ন্ত্রণ ছিল না।
ঘ. সাইকস-পিকট চুক্তি
সাইকস-পিকট চুক্তি, যা আনুষ্ঠানিকভাবে এশিয়া মাইনর চুক্তি নামেও পরিচিত। এটি গ্রেট ব্রিটেন ও ফ্রান্সের মধ্যে ১৯১৬ সালের গোপন চুক্তি, যার প্রতি তখনকার রাশিয়ান সাম্রাজ্য সম্মত ছিল। গোপনে অনুষ্ঠিত এই চুক্তি দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ায় গ্রেট ব্রিটেন ও ফ্রান্সের মধ্যে তাদের পারস্পরিক সম্মত প্রভাব এবং নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রগুলোকে সংজ্ঞায়িত করেছিল।
চুক্তিটি এই ধারণার ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল যে, ট্রিপল এন্টেন্তে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় অটোমান সাম্রাজ্যকে তারা পরাজিত করতে সফল হবে। গোপন এই চুক্তির জন্য পরিচালিত আলোচনাগুলো ১৯১৫ সালের নভেম্বর থেকে ১৯১৬ সালের মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আর এটি ১৯১৬ সালের ১৬ মে, গ্রেট ব্রিটেনের পক্ষে মার্ক সাইকস ও ফ্রান্সের পক্ষে জর্জ পিকট স্বাক্ষর করেন। চুক্তিটি ১৯১৭ সালে জনসাধারণের সামনে প্রকাশিত হয়েছিল। মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান দ্বন্দ্ব বিবেচনা করার সময় এখনও সেই গোপন সাইকস-পিকট চুক্তির কথা খুবই প্রাসঙ্গিক।
সিরিয়ায় অটোমানদের পরাজয়ের পর, ১৯১৮ সালে জেনারেল স্যার এডমন্ড অ্যালেনবির নেতৃত্বে ব্রিটিশ সৈন্যরা দামেস্কে প্রবেশ করে। তখন ব্রিটিশ সৈন্যদের সাথে ছিল মক্কার শরিফ হুসেনের পুত্র ফয়সালের নেতৃত্বে আরব বিদ্রোহের সৈন্যরা। তখন নতুন আরব প্রশাসন সিরিয়ার প্রধান শহরগুলিতে স্থানীয় সরকার গঠন করে এবং সিরিয়াজুড়ে প্যান-আরব পতাকা উত্তোলন করা হয়।
পূর্ববর্তী ব্রিটিশ প্রতিশ্রুতির ওপর বিশ্বাস রেখে আরবরা আশা করেছিল যে, নতুন রাষ্ট্রটি উত্তর সিরিয়ার আলেপ্পো থেকে দক্ষিণ ইয়েমেনের আদেন পর্যন্ত বিস্তৃত সমস্ত আরব ভূমিকে অন্তর্ভুক্ত করবে। কিন্তু ব্রিটেন ও ফ্রান্সের মধ্যে গোপন সাইকস-পিকট চুক্তি অনুসারে, জেনারেল অ্যালেনবি আরব প্রশাসনকে শুধুমাত্র সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ অঞ্চল (পূর্ব অঞ্চল) অর্পণ করেছিলেন।
৮ অক্টোবর ফরাসি সৈন্যরা বৈরুতে অবতরণ করে এবং লেবাননের উপকূলীয় অঞ্চল দক্ষিণে নাকোরা (পশ্চিম অঞ্চল) দখল করে এবং সেখানে ব্রিটিশ সৈন্যদের প্রতিস্থাপন করে। ফরাসিরা অবিলম্বে তখন এই অঞ্চলের স্থানীয় আরব সরকারগুলিকে বিলুপ্ত করে। ফ্রান্স তখন গোপন সাইকস-পিকট চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে সিরিয়াকে তার নিয়ন্ত্রণে রাখে। ১৯১৯ সালের ২৬ নভেম্বর ব্রিটিশ বাহিনী সংঘর্ষ এড়াতে দামেস্ক থেকে তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়। যার ফলে সিরিয়ার আরব সরকার তখন ফ্রান্সের মুখোমুখি হয়।
ফয়সাল যখন ফরাসি প্রধানমন্ত্রী ক্লেমেনসো ও ইহুদি নেতা চেইম ওয়েইজম্যানের সাথে ফিলিস্তিনে ইহুদি অভিবাসনের বিষয়ে আপোষে রাজি হন তখন সিরিয়ায় আবার অস্থিরতা শুরু হয় এবং হাশেম-বিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। মাউন্ট লেবানন এবং এর আশপাশের মুসলিম বাসিন্দারা তখন একটি নতুন রাষ্ট্র প্রধানত খ্রিস্টান প্রধান বৃহত্তর লেবাননে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ভয়ে বিদ্রোহ করে। কারণ, লেভান্টের এই অঞ্চলের ওপর ফ্রান্সের দাবির একটি অংশ ছিল যে, ফ্রান্স সংখ্যালঘু খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের রক্ষক।
১৯২০ সালের ২৫ এপ্রিল, সেভ্রেস চুক্তি প্রণয়নকারী সর্বোচ্চ আন্তঃমিত্র পরিষদ ফ্রান্সকে সিরিয়ার (লেবানন সহ) ম্যান্ডেট প্রদান করে এবং ব্রিটেনকে প্যালেস্টাইনের (জর্ডানসহ) ম্যান্ডেট প্রদান করে। সিরিয়ানরা সহিংস বিক্ষোভের সাথে প্রতিক্রিয়া জানায় এবং ৯ই মে, ১৯২০ সালে আলী রিদা আল-রিকাবির নেতৃত্বে একটি নতুন সরকার গঠিত হয়। নতুন সরকার সাধারণ সৈন্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় এবং একটি সেনাবাহিনী গঠন শুরু করে।
১৯২০ সালের ১৪ জুলাই জেনারেল গৌরাউদ ফয়সালকে একটি আল্টিমেটাম দেন, যাতে তাকে আত্মসমর্পণ অথবা ত্যাগের মধ্যে একটি বেছে নিতে বলা হয়। ক্ষমতার ভারসাম্য তার পক্ষে নয় বুঝতে পেরে ফয়সাল সহযোগিতা করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তরুণ যুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী ইউসুফ আল-আজমেহ তা মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান।
ফলস্বরূপ ফ্রাঙ্কো-সিরিয়ান যুদ্ধে, আল-আজমেহর নেতৃত্বে সিরিয়ার সৈন্যরা জেনারেল মারিয়ানো গোয়েবেতের নেতৃত্বে ফরাসি বাহিনীর সাথে মায়সালুনের যুদ্ধে মুখোমুখি হয়। কিন্তু ফরাসিরা এক দিনেরও কম সময়ে যুদ্ধে জয়লাভ করে। আজমেহ অনেক সিরিয়ান সৈন্যের সাথে যুদ্ধক্ষেত্রে মারা যান। গোয়েবেত ১৯২০ সালের ২৪ জুলাই দামেস্কে প্রবেশ করেন। আর ১৯২২ সালের ২৪ জুলাই লন্ডনে ম্যান্ডেট লেখা হয়।
ঙ. আত্ম-সংকল্প Self-Determination
পরাজিত অটোমান সাম্রাজ্য তুরস্ক প্রজাতন্ত্র এবং ইয়েমেনসহ বেশ কয়েকটি ছোট দেশ এবং সিরিয়া ও লেবানন (ভবিষ্যতের সিরিয়া, লেবানন ও হাতাই রাজ্য), প্যালেস্টাইন (ভবিষ্যতের ট্রান্সজর্ডান এবং ইসরায়েল), মেসোপটেমিয়া (ভবিষ্যতের ইরাক) এর নতুন মধ্যপ্রাচ্য মিত্র ম্যান্ডেট হিসেবে যখন বিলুপ্ত হয়। তখন লীগ অফ নেশনস শান্তির পথ হিসেবে এই নতুন রাষ্ট্রগুলোকে একীভূত করার প্রস্তাব করে।
পরবর্তীকালে ১৯২০ এবং ১৯৩০ এর দশকে উপনিবেশমুক্তকরণ প্রক্রিয়ার শুরুতে আত্মনিয়ন্ত্রণের জন্য কিছু সফল আন্দোলন হয়েছিল। ওয়েস্টমিনস্টারের সংবিধিতে যুক্তরাজ্য তখন কানাডা, নিউজিল্যান্ড, নিউফাউন্ডল্যান্ড, আইরিশ ফ্রি স্টেট, কমনওয়েলথ অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ইউনিয়নকে স্বাধীনতা প্রদান করে। আর ব্রিটিশ পার্লামেন্ট এই দেশগুলোর সম্মতি ছাড়াই তাদের উপর আইন পাস করতে অক্ষম বলে ঘোষণা করে।
তখন ব্রিটেন থেকে মিশর, আফগানিস্তান ও ইরাক এবং ফ্রান্স থেকে লেবানন স্বাধীনতা অর্জন করে। কিন্তু অন্যান্য অনেক প্রচেষ্টা তখন কার্যত ব্যর্থ হয়, যেমন ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন। ইতালি, জাপান এবং জার্মানি সকলেই তখন নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলকে তাদের নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য নতুন প্রচেষ্টা শুরু করে, যার ফলে আবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়।
কার্যত মধ্যপ্রাচ্য সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটিশ ও ফ্রান্সের যৌথ উদ্যোগে। যার একটি প্রধান কারণ ব্রিটিশ ও ফরাসিদের মধ্যে অনুষ্ঠিত সেই গোপন সাইকস-পিকট চুক্তি। যার ফলে লীগ অব নেশনস কার্যত পরবর্তীতে ব্যর্থ হয়েছে। যে কারণে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধও হয়েছে। কিন্তু ব্রিটিশ ও ফ্রান্স মধ্যপ্রাচ্যে শত বছর আগে যে বিষবাষ্প রোপন করেছিল, সেই বিষবাষ্প থেকেই পুরো মধ্যপ্রাচ্যে নতুন সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। আজকের ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধ সেই সংকটের আবশ্যক ধারাবাহিকতা মাত্র। চলবে
লেখক: কথাসাহিত্যিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা