
স্ত্রী এবং রক্ষিতা
পর্ব ১০
সরদার মেহেদী হাসানপ্রকাশিত : নভেম্বর ১৪, ২০১৮
রিক্তার দেহ চাপা উত্তেজনায় ঘেমে উঠেছে। খানিক নীরবতায় আস্তে-ধীরে সে দু’চোখ খুলে বাদলকে দেখার চেষ্টা করে, হি হি হি... বাদল মুচকি মুচকি হাসছে।
কি, চোখ খুললে কেন? আমার তো দেখা এখনো শেষ হয়নি।
রিক্তা বুঝে উঠতে পারছে না, তার কি বলা উচিত। সে তাকিয়ে আছে বাদলের দিকে।
বাদল জিজ্ঞেস করল, কি দ্যাখো?
না, কিচ্ছু দেখি না।
তাহলে তাকিয়ে আছো কেন?
তাহলে আমি কি করব?
আমাকে জড়িয়ে ধরো। আদর করো। আমাকে ভালোবাসো। এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বলে ফেলল বাদল।
বাদল অনেক বেশি পাগল হয়ে গেছে রিক্তার জন্য। সে রিক্তার জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করে যাচ্ছে। রিক্তার কাছে অন্য কোনো পুরুষ ভিড়তে দিতে চায় না বাদল। কয়েকদিনে মেয়েটির শরীরে হাত দিতে পারেনি বাদল। আজকে সে রিক্তার শরীর নিখুঁতভাবে দেখতে চায়, উপভোগ করতে চায়। উপরের অপার সৃষ্টিকে। বাদল রিক্তাকে শরীরের সকল পোশাক খুলে ফেলতে বলে। রিক্তাও বা্ধ্য মেয়ের মতো শরীরের সকল পোশাক খুলে রেখে খাটের উপর শুয়ে পড়ে। বাদল রিক্তার এমন অবস্থা দেখে, কোনো কিছু চিন্তা না করেই ঝাপিয়ে পড়ে রিক্তার নরম শরীরের উপর। বাদল ক্ষণিকের মধ্যেই পশুতে রূপান্তরিত হয়ে যায়। ছিন্নভিন্ন করতে থাকে রিক্তার দেহ।
রিক্তা অসাড়। রিক্তা নিথর। রিক্তা স্পন্দনহীন। রিক্তা মৃতপ্রায় মানুষের মতো পড়ে রয়েছে বিছানার উপরে। মৃত পশু, পশুও খায় না। বাদল রিক্তার স্পন্দনহীন দেহটা নিয়ে কিছুক্ষণ খেলার পর হাঁপিয়ে ওঠে, সে নিজের সাথে, নিজেই যুদ্ধ করছে। তার প্রতিপক্ষ দুর্বল, মৃতপ্রায়। প্রথম দিন রিক্তা বাদলকে যেভাবে বাধা দিয়েছিল, সেভাবে আজ দেয়নি। প্রথম দিন রিক্তা নিজের সতিত্ব হারানোর ভয়ে যুদ্ধ করেছিল। আজ রিক্তার হারানোর কিছু নেই। আজ সে চিন্তাহীন, ভয়হীন দেহ নিয়ে পড়ে রয়েছে বিছানার উপর। বাদল হাঁপাচ্ছে। আজ সে অপরিতুষ্ট দেহ নিয়ে বসে আছে খাটের উপর। আজ অনেক মজা করে রিক্তার দেহটা ভোগ করতে চেয়েছিল বাদল, কিন্তু রিক্তার অসহযোগিতায় সেইটি সম্ভব হল না। মৃত মানুষের সাথে মিলিত হবার ইচ্ছা করে না বাদলের। তাই অনেকটা অনিচ্ছাকৃতভাবে নেমে পড়ে খাট থেকে। তড়িঘড়ি করে পোশাক পরে বাদল বেরিয়ে যায়।
রিক্তা ব্যথা পেয়েছে কিন্তু প্রথম দিনের মতো নয়। রিক্তা নগ্ন হয়ে পড়ে রয়েছে বিছানার উপর। হা হা হা... জোরে হেসে ওঠে রিক্তা। প্রচণ্ড শক্তি দিয়ে হাসতে হাসতে সে কেঁদে ফেলে। হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে। চিৎকার করে কেঁদে আকাশ চূর্ণবিচূর্ণ করে ফেলতে চায়। সে অনেকক্ষণধরে ডুকরে ডুকরে কাঁদে। কয়েক দিনে মুষলধারে বৃষ্টির কারণে আজ রিক্তার চোখে পানির প্রবাহ অনেকটা কমে এসেছে। আকাশে প্রচণ্ড মেঘের গর্জন থাকলেও বৃষ্টির দেখা নেই। কতদিন বৃষ্টিতে ভিজেনি রিক্তা, সেই ছোটবেলাই বৃষ্টিতে ভিজেছে। শরীরে নারীর অবয়ব স্পষ্ট হবার পর থেকে বৃষ্টিতে ভেজা হয়নি রিক্তার। তবে গোসলখানার চার দেয়ালের মাঝে, কৃত্রিম ঝর্ণায় শরীর ভিজিয়েছে দিনকে দিন। কখনো কখনো আনন্দে শরীরের সকল পোষাক খুলে ছুড়ে ফেলেছে গোসলখানার নির্লজ্জ কিনারে। কত দুষ্টুমি, খুনসুটি ঝর্ণার পানির সাথে। দিনের পর দিন নিজের অপরিপক্ব দেহটাকে ধুইয়ে-মুছে তড়তড় করে বেড়ে তুলছিল সে। উপরের ঝর্ণার পানি শরীর উচু-নীচু স্থান বেয়ে নেমে গেছে নীচে। নীচের সেই অশান্ত পৃথিবী নিয়ে কতই না রোমাঞ্চিত হয়েছে দিনের পর দিন। নিজের ভালবাসার মানুষকে, সেই অশান্ত পৃথিবীতে ডুবিয়ে আনন্দে আত্মহারা করাতে চেয়েছিল মনের মানুষকে।
আজ নগ্ন হয়ে পড়ে রয়েছে সে। শরীরের চারপাশে দুর্গন্ধযুক্ত মাছি ভনভন করছে। শরীরের যেখানেই মাছি পড়ছে, সেখানেই দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। রিক্তা আস্তে-ধীরে খাট থেকে উঠে নগ্ন হয়েই গোসলখানায় ঢোকে।
চলবে