স্ত্রী এবং রক্ষিতা

পর্ব- ১৭

সরদার মেহেদী হাসান

প্রকাশিত : জানুয়ারি ২৯, ২০১৯

রিক্তা আজ নগ্ন হয়ে বাথটাবের শীতল পানিতে ডুবে রয়েছে। গলা পানিতে ডুবে থাকতে পারলেও নিজের সমস্ত দেহটিকে পানির নিচে ডুবিয়ে ফেলতে পারছে না। তবে...কখনও কখনও খুব জড়োসড়ো হয়ে নিজের নগ্ন দেহটিকে বাথটাবের পানিতে ডুবিয়ে নিচ্ছে।

 

তার শরীরে কুৎসিত পৃথিবীর, কদাকার কালির লেপন যা লেগেছে তা সারাজীবন এই বাথট্যাবের পরিষ্কার নির্ঝর পানিতে ধুয়ে ফেললেও যাবে না। তারপরও মিথ্যা প্রচেষ্টা। বাথট্যাবটি বেশ দামী টাইলস-এ মোজাইককৃত। দামী দামী প্রসাধনী থরে থরে সাজানো রয়েছে দেওয়ালের সুন্দর সেল্ফে। সমস্ত বাথরুমে সুন্দর ঘ্রাণের বন্যা বয়ে যাচ্ছে, রিক্তা কখনও কখনও তার সুন্দর চোখ দুটি বন্ধ করে এলিয়ে পড়ছে আধো ঘুমের তন্দ্রাচ্ছন্নতায়।

 

ডান হাতে পুশ-শাওয়ারের নিক্ষিপ্ত পানি নিজের তন্দ্রাচ্ছন্নতাকে কাটিয়ে নিচ্ছে। বাথট্যাবে বেশ লাগছে রিক্তার। চিৎ হয়ে পানিতে শুয়ে থেকে ধবধবে সুন্দর পা দুটি নাড়িয়ে নাড়িয়ে পানির সাথে খেলা করছে। পানিতে স্যাম্পুর ফেঁনা ফুলিয়ে গড়ে তুলেছে নিজের ভাসমান রাজ্য। পানির বুদবুদ ফাঁনাগুলো বেশ নির্লজ্জ। কোন লজ্জাসরম আছে বলে রিক্তার মনে হচ্ছে না। সে তার দু হাত দিয়ে ফেনা গুলোকে যতই দূরে ঠেলে দিতে চাচ্ছে, ততই বেহায়ার মতো দলবেধে ছুটে আসছে তার নগ্ন কমল বুকের দিকে।

 

রিক্তার এই খুনসুটিটি খারাপ লাগছে না। ফাঁনার বুদবুদের কানটি চেপে, শক্ত দু হাতের তালুতে আটকিয়ে নিয়ে, বেশ করে দলিত মলিত করছে বুকের সাথে। এতে ফাঁনাগুলো লজ্জা পাচ্ছে কি না তা বুঝতে পারছে না রিক্তা, তবে...রিক্তার শরীরে বেশ রোমান্স অনুভূত হচ্ছে। রিক্তা আগে কখনও মদ না খেলেও বর্তমানে বাদলের পাল্লায় পড়ে মদের নেশা বেশ ধরেছে। গোসলের পূর্বেই একটি গ্লাসে মদ ঢেলে রেখেছে বাথট্যাবের পাশেই। সেখান থেকে মাঝে মাঝে সে চুমুক দিয়ে খেয়ে নিচ্ছে।

 

আহা!

কি যে শান্তি... বাথট্যাবের সব পানি মদ হলে খুব মজা হতো। সে ডুবে ডুবে মদ খেয়ে রোমান্টিসিজম চরম মহুর্তে পৌছে যেতে পারত।

ধুর শালা,

বাদল একটা খকিন্নী। খানকীর পোলা, বাথট্যাবে এত দামী দামী জিনিস রেখেছে, বাথট্যাব ভর্তি মদ রাখলে কি ক্ষতি হতো তা!! বেশ অভিমান হচ্ছে রিক্তার। খানকির ছেলেকে আজকে সে তার শরীরে হাত দিতেই দিবে না। আগে বাথট্যাব ভর্তি মদ আনবে তারপর...

হা হা হা...

রিক্তা নিজের অজান্তেই হেসে যাচ্ছে।

হা হা হা... কিরে...খানকির ছেলে, তুই কই? ঐ খানকির পোলা, তুই আমারে চুদবি না? ঐ খান...কি...ই... হটাৎ রিক্তা ঠোটে হাত চেপে ধরে... সে এত গালাগালি করছে কেন? সে ত আগে কখনও এমনভাবে গালাগালি করেনি

হি হি হি... আমি ত গালি দেইনি,

আমি গালি দেইনি...হি হি হি মদটা বেশ। বেশ ধরেছে রিক্তাকে। রিক্তার দু চোখ ঝিমিয়ে আসছে, ঠোট দুটি কুচকিয়ে গালি দেবার চেষ্টা করছে, কিন্তু গলার আওয়াজটা কেমন কমতে শুরু করেছে। হটাৎ একটা নোংরা ঢেকুস তুলে মুখ হা করে ছাদের দিকে তাকিয়ে থাকে...

হটাৎ.. ছাদকে গালি দেয়, ঐ খানকির পোলা? ড্যাবড্যাব করে কি দেখিস? মাইয়া মানুষ দেখলে তোদের মাথা ঠিক থাকে না? তোরা পশু হয়ে যাস? আয়, আয়, আমারে চুদবি? তোরা পুরুষ হয়েছিস বলে সবাইকে বেশ্যা বানিয়ে ফেলবি? আমি কি বেশ্যা? আমি কি বেশ্যা হয়ে জন্মেছি? তোরে আমি খুন করে ফেলব। রিক্তার পৃথিবীটা কেমন জানি বেশামাল হয়ে পড়েছে। টক টক, টক টক, বাথরুমের দরজায় বাদলের নক...

 

(চলবে)