
হাসিনাকে ডাকসুর সদস্য দেখতে চাওয়া ইমি বামজোটের ভিপি প্রার্থী
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : আগস্ট ১৯, ২০২৫
২০১৯ সালের শেষ ডাকসু নির্বাচনে শামসুন্নাহার হলের ভিপি নির্বাচিত হন শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি। সেবার তিনি স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে জিতেছিলেন। এবার তিনি বাম গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের প্রার্থী হয়ে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইমির পুরনো বিতর্কিত বক্তব্য ছড়িয়ে পড়েছে। ২০১৯ সালে ডাকসু নির্বাচিত হওয়ার পর টকশোতে তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আজীবন ডাকসু সদস্য করার পক্ষে মত দিয়েছিলেন।
সে সময় এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিলেন ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর। কিন্তু ইমি নুরের বিরোধিতা সত্ত্বেও হাসিনাকে আজীবন সদস্য ঘোষণার পক্ষে মত দেন।
একটি বেসরকারি টেলিভিশনের আলোচনায় ইমি বলেন, “আমার হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। যদিও কয়েক জায়গায় হয়নি। এটা আমাকে মানতে হবে। তবে শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং তাকে আন্তরিক দেখেছি।”
তিনি আরও বলেন, “ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজন সম্ভব হয়েছে তার আন্তরিকতার কারণেই। তিনি আমাদের গণভবনে ডেকে যে আতিথেয়তা দিয়েছেন, অন্তত কৃতজ্ঞতাবশত হলেও তাকে ডাকসুর আজীবন সদস্য ঘোষণা করা উচিত।”
পরে সে বছরের ৩০ মে ডাকসুর দ্বিতীয় কার্যনির্বাহী সভায় শেখ হাসিনাকে আজীবন সদস্য ঘোষণা করা হয়। এ সিদ্ধান্তের বিবৃতিতে ভিপি নুরের স্বাক্ষর ছিল না। তৎকালীন সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনও এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন।
এবার ইমি বাম গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট থেকে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কিন্তু শেখ হাসিনাকে ডাকসুর আজীবন সদস্য করার পক্ষে দেওয়া তার বক্তব্যটি আবার ভাইরাল হয়েছে।
এর প্রতিক্রিয়ায় ইমি সম্প্রতি ফেসবুকে লিখেছেন, “১৯ সালে শেখ হাসিনাকে ডাকসুর আজীবন সদস্য করার ব্যাপারে আমার বক্তব্যের কিছু খণ্ডিত অংশ প্রচার হতে দেখছি। অনেকে আমার বর্তমান অবস্থান জানতে চাইছেন। আমি স্পষ্ট জানাতে চাই, আমি নিরপরাধ মানুষ এবং ছাত্রখুনের নির্দেশদাতার সর্বোচ্চ বিচার চাই। ফুলস্টপ।”