ঢাকা-করাচি সরাসরি ফ্লাইট ও শিপিং সেবা চালুর উদ্যোগ

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : আগস্ট ২৪, ২০২৫

বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট এবং নিয়মিত শিপিং সেবা পুনরায় চালুর প্রস্তাব দিয়েছে। এতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা তৈরি পোশাক ও কৃষি খাতে সহযোগিতা এবং বাণিজ্যের ডিজিটালাইজেশনের বিষয়েও আলোচনা করেছেন। শনিবার ৩ দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। তার এ সফরের মধ্যেই আজ রোববার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিষয়টি সামনে এনেছে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকা-করাচি বাণিজ্যিক সংযোগে নতুন উদ্যোগের আলোচনাটি হয় পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান এবং বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা বশিরউদ্দিনের মধ্যে সম্প্রতি চট্টগ্রাম সফরের সময়।

পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রীর একদিনের ওই সফরে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জেলা প্রশাসন ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ অতিথিদের স্বাগত জানায়।

ওই সময় জাম কামাল খান ও বশিরউদ্দিন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বাংলাদেশি জাহাজ ভাঙা শিল্প পরিদর্শন করেন এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন।

চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী মহল পাকিস্তান-বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন এবং সরাসরি ফ্লাইট ও শিপিং সেবা পুনরায় চালুর পাশাপাশি বাণিজ্যের ডিজিটালাইজেশনের প্রস্তাব দেন।

আলোচনায় পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করেছেন যে, শিগগিরই যৌথ বাণিজ্য ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হবে। এর মাধ্যমে বাণিজ্য সংক্রান্ত আলোচনার প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরি হবে।

খাদ্য ও কৃষি: করাচিতে ২৫-২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য তৃতীয় আন্তর্জাতিক খাদ্য ও কৃষি মেলায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে স্বাস্থ্য, চামড়া, অপরিহার্য পণ্য, এই খাতগুলোতে দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগের বড় সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া আফ্রিকা ও মধ্য এশিয়ায় পণ্য রপ্তানির জন্য ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা গড়ার সম্ভাবনাও আলোচনায় আসে।

জাম কামাল ও বশিরউদ্দিন চট্টগ্রামের কবির শিপ রিসাইক্লিং ফ্যাসিলিটি পরিদর্শন করেন। সেখানে বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথভাবে জাহাজ নির্মাণ, ভাঙা ও পুনর্ব্যবহার শিল্পে কাজ করার সম্ভাবনা নিয়ে ব্রিফিং হয়। এ সময় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বন্দরের ইতিহাস, কার্যক্রম এবং চলমান প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত উপস্থাপনা দেন।