‘রুমিন ফারহানার অনুসারীরা টার্গেট করে হামলা করে’

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : আগস্ট ২৪, ২০২৫

রুমিন ফারহানার অনুসারীরা টার্গেট করে হামলা করে বলে জানিয়েছেন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মোহাম্মদ আতাউল্লাহ। আজ রোববার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

মোহাম্মদ আতাউল্লাহ বলেন, “শুনানিস্থলে এসে দেখি, বিএনপির রুমিন ফারহানাসহ লোকজন তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করছেন। একটা পর্যায়ে যখন আমার সময় আসে, আমি শুনানিতে দাঁড়াই। দাঁড়ানোর পরেই রুমিন ফারহানা তেড়ে গিয়ে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন এবং আমাকে কথা বলতে দেননি।”

তিনি আরও বলেন, “রুমিন ফারহানার লোকজন আমাকে লাথি-ধাক্কা দেয়। তার যে গুণ্ডাপাণ্ডা ছিল তারা আমাকে পায়ের নিচে ফেলে পিষ্ট করে এবং নির্মমভাবে মারধর করে। সিসিটিভি ফুটেজে ঘটনার উপযুক্ত প্রমাণ মিলবে। আমার কথাগুলো আপনাদের বিশ্বাস করতে হবে না। এখানে ভিডিও ফুটেজ আছ, সিসিটিভি চেক করলে পাবেন।”

এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক বলেন, “আমার সঙ্গে উপজেলার প্রধান সমন্বয়কারী আমিনুল ইসলাম এবং যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক সুমন মোস্তফা- তারাও মারধরে হামলার শিকার হয়েছেন। বিএনপির রুমিন ফারহানার অনুসারীরা টার্গেট করে এবং অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে মারধর করে। তারা চেয়েছে যেন এখানে আমরা আমাদের যুক্তি উপস্থাপন না করি।”

তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন অফিসে ইসির সামনে যেভাবে তারা হামলা করেছে ফুটেজ দেখে রুমিন ফারানা যে ন্যক্করজনক হামলা ঘটিয়েছে তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। তাকে গ্রেফতার করতে হবে। সিইসি প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী, তার সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এটার বিচার নিষ্পত্তি হোক। বিচার না হলে ভোটার ও প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে না।”

আতাউল্লাহ বলেন, “আমি এই হামলার, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই। যদি বিচার করতে ব্যর্থ হয়, আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করছি।”

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপি নেতা খালেদ সাইফুল্লাহ, আরিফুর রহমান তুহিন, রফিকুল ইসলাম কনকসহ যুবশক্তির অন্য নেতারা।