নাঈম আল ইসলাম মাহিনের পুথিকাব্য ‘শিশু মোহাম্মদ (স.)

কবিতা, এই অমর কঙ্কাল, আমাকে ক্লান্ত করে। জ্বলছে লেবানন আহত ঘোড়ার মতো লাফায় মরুর প্রান্তে আর আমি এক মুটকি মেয়ের সন্ধান করে বেড়াই

কেঁদেও পাবে না তাকে বর্ষার অজস্র জলধারে। ফাল্গুন বিকেলে বৃষ্টি নামে। শহরের পথে দ্রুত অন্ধকার। লুটোয় পাথরে জল, হাওয়া তমস্বিনী

উন্মুক্ত হাওয়ার মতো সারাদিন পৃথিবীতে ঘুরে সংসারের সারমর্ম নিয়ে আসতেন বাবা, আর ছোট ঘরে খড় পাতা আগুনের ফুলে মা পাঁজর খুলে সন্ধ্যা-সকাল তর্জমা জপতেন সে সবের

কোনো ক্ষমতা নেই আমার তোমাকে বদলে দেবার কিংবা তোমার মতো করে ব্যাখ্যা করার কখনো বিশ্বাস করো না, কোনো পুরুষ মেয়েকে বদলে দিতে পারে

উন্নয়নের আকাশসীমায় স্মৃতির নাটাই থেকে ছিঁড়ে গেছে ঘুড়ি! আকাশেই ঘর আকাশেই নাচানাচি। হতভাগা আমি গুলি খেয়ে বাঁচি।

হেরা গুহায় ধ্যানের নবি ওহি পেলেন, পড়ো/সেই নবিজির উম্মত আজ মূর্খ ঘোরতর/জ্ঞানের আলো নিভে গেছে, মূর্খতা চারদিকে/মানবীয় গুণগুলো আজ হয়ে গেছে ফিকে।

কারো সাথে একা ভালোমন্দকথা বলার জন্য শত শত শ্রোতার সামনে ভাষণ দেওয়ার চেয়ে আরও সাহসের প্রয়োজন আমার, যা আমি কখনও করিনি এবং সম্ভবত কখনও করবও না।

ফুরিয়ে যাওয়া রাত্রিজুড়ে/লুম্পেনেরা খেলছে জুয়া/মাথার ভেতর চুঁইয়ে পড়ে/তীব্র আকর বন মহুয়া