গাজা সিটি দখলে ইজরায়েলি হামলা শুরু, নিহত ৮১

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : আগস্ট ২১, ২০২৫

বুধবার ভোর থেকে গাজা সিটি দখলে হামলা শুরু করেছে ইজরায়েলি সেনবাহিনী। এ হামলায় ও অনাহারে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে নিহত হয়েছে ৩০ ফিলিস্তিনি।

ইজরায়েলি সেনারা জানিয়েছে, গাজার সবচেয়ে বড় নগরকেন্দ্র গাজা সিটি দখলের লক্ষ্যে অভিযানের প্রথম ধাপ তারা শুরু করেছে। সেখানে এখনও প্রায় ১০ লাখ মানুষ ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আটকে আছে।

শুধু বুধবারই ক্ষুধায় মারা গেছে ৩ ফিলিস্তিনি। এ নিয়ে অনাহারে গাজায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৬৯ জনে, যাদের মধ্যে ১১২ শিশু।

ইজরায়েলি হামলার মধ্যে দক্ষিণ গাজার এক তাঁবুতে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুতদের ওপর হামলায় নিহত হয় তিনজন। দক্ষিণ গাজায় ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে গুলিতে নিহত হয় ফিলিস্তিনি জাতীয় বাস্কেটবল দলের সাবেক তারকা খেলোয়াড় মোহাম্মদ শালান।

গাজায় খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া এবং লাগাতার সামরিক হামলায় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ নেমে এসেছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সতর্ক করেছে, ইজরায়েলি অবরোধ চলায় গাজায় অপুষ্টি মারাত্মকভাবে বেড়ে যাচ্ছে।

সংস্থাটি বলেছে, এটি কেবল ক্ষুধা নয়, এটি হচ্ছে অনাহার। অপুষ্টি হলো ‘নীরব হত্যাকারী’ যা আজীবন শারীরিক ক্ষতি করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে এবং সাধারণ অসুখকেও প্রাণঘাতী করে তোলে।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গাজা সিটির প্রায় প্রতি ৩ শিশুর মধ্যে একজন এখন অপুষ্টিতে ভুগছে।

ইজরায়েলি মানবাধিকার সংগঠন গিশা বলেছে, ইজরায়েলি সরকার একের পর এক মিথ্যা যুক্তি দাঁড় করিয়ে গাজায় অনাহারের জন্য দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে। যদিও বাস্তবে শুরু থেকেই ইজরায়েল ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিয়ে এটিকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।

ইউএনআরডব্লিউএ আবারও অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে বলেছে, গাজায় তাদের কর্মীরা ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে কাজ করছে।

গাজায় কর্মরত চিকিৎসক ডা. হিন্দ বলেন, “আমরা বিপর্যয়কর পরিস্থিতির মধ্যে কাজ করছি।” সূত্র: আল জাজিরা