
চীনের অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে ভোলায়
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : আগস্ট ২৭, ২০২৫
সমুদ্র উপকূলীয় জেলা ভোলায় অর্থনৈতিক অঞ্চল করার জন্য চীনকে অনুমতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ‘লিজ ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’ উন্নয়ন কাজ করবে।
এখানে মৎস্য ও মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ, দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদন ও কৃষি-শিল্পভিত্তিক কারখানা স্থাপিত হবে। প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) সভায় সম্প্রতি এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
এটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভোলা ইকো-ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিক জোন’। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিল্প খাতের অন্যতম সমস্যা গ্যাস সংকট। কিন্তু ভোলায় গ্যাসের মজুত আছে। এছাড়া এখানে দক্ষিণাঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।
বিনিয়োগ হবে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার। এসব বিবেচনায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বেজার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়।
লিজ ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিজ চীনা বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। এরই মধ্যে তারা বাংলাদেশে গার্মেন্টস, টেক্সটাইল ও অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ করেছে। লিজ ফ্যাশন টেকসই শিল্পায়নকে প্রাধান্য দিয়ে পরিবেশবান্ধব, রপ্তানিমুখী উৎপাদন কার্যক্রমে অবদান রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের দক্ষিণাঞ্চলে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে ভোলা জেলায় অর্থনৈতিক অঞ্চল দেওয়া হয়েছে। ভোলা সদর উপজেলায় ১০২ দশমিক ৪৬ একর জমিতে গড়ে উঠবে এ অর্থনৈতিক অঞ্চল।
পর্যায়ক্রমে যা ১৫৮ একরে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে। আর এ অঞ্চলটি হবে একটি পরিবেশবান্ধব, শ্রমঘন ও কৃষিভিত্তিক শিল্প এলাকা। এখানে মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ, দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদন এবং কৃষি-শিল্পভিত্তিক নানা কারখানা স্থাপিত হবে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রায় ৪০টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপিত হবে, যা সরাসরি ও পরোক্ষভাবে প্রায় লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
বেজার নির্বাহী সদস্য (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মেজর জেনারেল (অব.) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “ভোলা ইকো-ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিক জোন বরিশাল বিভাগের প্রথম অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। যার ডেভেলপার হিসাবে কাজ করবে চীনের লিজ ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।”
ভোলা ইকো-ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিক জোনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মি. ঝুয়াং লাইফেং বলেন, “পরিবেশবান্ধব ও সার্কুলার ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছি। প্রতিষ্ঠানটি ভোলার গ্যাস ও কৃষিসম্পদের সুবিধা কাজে লাগিয়ে বৈদশিক বিনিয়োগ আনতে সক্ষম হবে।”
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেজা বিশ্বাস করে, ভোলা ইকো-ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিক জোন বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জন্য শিল্পায়নের নতুন একটি অধ্যায় শুরু হবে। এটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও রপ্তানি বৃদ্ধির পাশাপাশি বাংলাদেশকে টেকসই শিল্পোন্নয়নের পথে আরও এগিয়ে নেবে। বেজা এরই মধ্যে ১৩টি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলকে লাইসেন্স দিয়েছে।