জাতীয় পার্টি দিয়ে আ. লীগ ফেরানোর চেষ্টা চলছে: ক্রীড়া উপদেষ্টা

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : আগস্ট ৩১, ২০২৫

জাতীয় পার্টি দিয়ে আওয়ামী লীগকে ফেরানোর চেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আজ রোববার দুপুর পৌনে ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরকে দেখতে এসে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, “গণধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও ঘটেনি। অথচ এ সরকারের আমলে ঘটেছে। এ ঘটনার দায় সরকারকে নিতে হবে। যেহেতু রিফাইন্ড আওয়ামী লীগের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তাই জাতীয় পার্টির ভেতর দিয়ে আওয়ামী লীগকে ফেরানোর চেষ্টা চলছে।”

তিনি আরও বলেন, “জাতীয় পার্টি হচ্ছে একদম সুনির্দিষ্ট ও চিহ্নিত ফ্যাসিবাদী দল। আমরা দেখেছি, বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের এই ফ্যাসিবাদী সংসদকে বারবার বৈধতা দিয়েছে। ভারত থেকে প্রেসক্রিপশন এনে বাংলাদেশে তারা একটি কৃত্রিম সংসদ তৈরি করেছে, কৃত্রিম গণতন্ত্র দেখিয়েছে। এই চিহ্নিত ফ্যাসিবাদীদের কোনভাবে যদি সমর্থন দেওয়া হয়, তাহলে সেটি যেমন সরকারের পক্ষ থেকে গ্রহণযোগ্য নয়, তেমনি জনগণের পক্ষ থেকেও ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো তা রুখে দাঁড়াবে বলে আমি প্রত্যাশা করি।”

ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, “ইনক্লুসিভ নির্বাচনের নামে অনেকে চাইবে না যে আগামী বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে বা আওয়ামী লীগের স্টাবলিশমেন্ট ছাড়া কোনো রাজনৈতিক কিংবা গণতান্ত্রিক সেটেলমেন্ট হোক। ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো যদি সরকারি দল ও বিরোধী দলে পরিণত হয়, তাহলে সেই সেটেলমেন্ট বাস্তবায়িত হয়ে যাবে। সেই জায়গা থেকে অনেকে নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করবে। তারা আওয়ামী লীগকে নানা ফরমেটে আনতে না পারলে সেটিকে বানচাল করার চেষ্টা করবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা মনে করি, এ ধরনের সকল প্রচেষ্টা গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক দলগুলো এবং সরকার রুখে দেওয়ার জন্য তৎপর রয়েছে। জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সরকার এখনও কোনো অফিসিয়াল সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে সরকার এরই মধ্যে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে। আজও মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও জুলাই অভ্যুত্থানের কয়েকটি সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। রাজনৈতিক দলগুলো ও জনগণের পক্ষ থেকে যে বক্তব্য আসবে, সে অনুযায়ী সরকার বিবেচনা করবে।”

গণধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সরকার একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়ে ভাবছে। এটা কোনো সাধারণ রাজনৈতিক কর্মীর ওপর হামলা নয়, বরং একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান নেতার ওপর হামলা। আওয়ামী লীগের সময়েও এ ধরনের ঘটনা ঘটতে দেখিনি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। যেহেতু বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্বে আছে, তাই দায়িত্ব সরকারের ওপরই বর্তায়। সরকারকে এর সমাধান করতে হবে। এই হামলার বিচার করে ভবিষ্যতে যাতে কেউ এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাহস না পায়, সেটি নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।”