বিভিন্ন দেশে অস্ত্র কারখানা গড়ে তুলেছে ইরান

বেশ কয়েকটি দেশে অস্ত্র তৈরির কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদেহ। শুক্রবার রাতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।

নাসিরজাদেহ বলেন, “আমরা কয়েকটি দেশে অস্ত্র কারখানা স্থাপন করেছি। তবে এখনই নাম প্রকাশ করছি না। এক বছরে ইরান নতুন ধরনের উন্নত ও নিয়ন্ত্রণযোগ্য ওয়ারহেড পরীক্ষা করেছে।”

তিনি আরও বলেন, “জুনে ইজরায়েলের সঙ্গে সংঘাত যদি ১৫ দিন স্থায়ী হতো তবে শেষ ৩ দিনে ইজরায়েল কোনো ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে পারত না। এ কারণেই ইজরায়েল শেষপর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়।”

ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “ইরান এ যুদ্ধে সবচেয়ে নিখুঁত ক্ষেপণাস্ত্র ‘কাসেম বাসির’ ব্যবহারই করেনি। এ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা প্রায় ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার, সঙ্গে উন্নত গাইডেন্স ও প্রতিরোধ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কার্যকর প্রযুক্তি রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “যুদ্ধের শুরুর দিকে প্রায় ৪০ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্র আটকানো হলেও শেষদিকে ৯০ শতাংশ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। এটি প্রমাণ করে ইরানের অভিজ্ঞতা যেমন বাড়ছিল, তেমনি ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা ক্রমেই দুর্বল হচ্ছিল।”

ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, ১২ দিনের যুদ্ধে তারা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন প্রতিহত করার সাফল্যের হার ছিল প্রায় ৯০ শতাংশ। সূত্র: এনডিটিভি