সাঈফ ইবনে রফিকের কবিতা ‘জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ’

প্রকাশিত : এপ্রিল ২১, ২০১৯

ঘাড় ধরে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে বের করা হলো—
বিষুব রেখা থেকে।
সাত বছর আশ্রয়ে থাকা
দেশহীন একজন মানুষকে
পৃথিবী থেকে বের করে দিলো রাষ্ট্রব্যবস্থা।
এই অবৈধ অভিযানে পাশে ছিল কূটনীতি,
অর্থনীতি আর সেই বহুতল গুজবের শপিংমল।
ব্রিটেন তখন ইউরোপ থেকে স্বাধীনতা চাইছে—
পুরোনো বিচার খুঁড়ে মাটিচাপা দিচ্ছে
তথ্যপ্রবাহ! বাক স্বাধীনতার ইনডেস্কে তখনও
কবুতর দেখি না, কতগুলো খাঁচাপোষা টিয়া দেখি
`ট্রাম্প!` `ট্রাম্প!` বলে চেঁচাচ্ছে!

করপোরেট আধিপত্যে নতজানু মেইনস্ট্রিম মিডিয়া দেখতে দেখতে যখন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে পাইলাম— আকাশের চাঁদ হাতের মুঠায়! তিনি চমকে দিলেন, জার্নালিজমকে লিড দিলেন— সিটিজেন জার্নালিজমের মোড়কে। উইকিলিকসের ফাঁস করা তথ্যের যে ওজন, তাতে পৃথিবীর আহ্নিক গতিকেও প্রভাবিত করা যায়! মার্কিন আধিপত্যবাদের চেহারা দেখেছে বিশ্ব। জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে যখন যৌন হয়রানির অভিযোগ দিয়ে ফাঁসিয়ে দিলো পাশ্চাত্য সভ্যতা, তখন তাকে `সেক্সি` বললেন সুপারস্টার মডেল পামেলা এন্ডারসন। সম্প্রতি লেখা পামেলা এন্ডারসনের কবিতার একটি প্যারার সাঈফীয় বাংলা।   

বুদ্ধিদীপ্ত, আকর্ষণীয়, সবজান্তা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ
হ্যাঁ, আমি মনে করি সে সেক্সিও!
তার স্ট্যামিনা যাচাইয়ে যেও না—
তোমরা জানো না তার সক্ষমতা
শৌর্যবীর্য! তিনি লড়ছেন
বড় বড় সব পরাশক্তির সাথে।
আমি তার সাথে সময় কাটিয়েছি—
তার মনোভাব সম্পর্কে নিশ্চিত
তিনি মঙ্গলের জন্যই লড়ছেন।