কাজী জহিরুল ইসলামের আত্মগদ্য ‘আমার বিচিত্র জীবন’

পর্ব ৩৫

কাজী জহিরুল ইসলামের আত্মগদ্য ‘আমার বিচিত্র জীবন’

আগস্ট ২৬, ২০২৫

এক বিকেলে আলাউদ্দিন কানের কাছে মুখ এনে আস্তে করে বলে, জহির ভাই, চলেন বিয়ার খাই


তৃষ্ণাকুমারী (৩)

তৃষ্ণাকুমারী (৩)

গা ছমছম অন্ধকার একটা ঘরে দাঁড়িয়ে আছেন রানি। বাতাস এখানে ভারি। কলিচুনের গন্ধ এসে নাকে ধাক্কা মেরে যাচ্ছে। দম বন্ধ হয়ে আসতে চাইছে। রানির মনে হলো, যেন কয়েক শতাব্দী এ ঘরে কোনও মানুষের নিঃশ্বাস পড়েনি। মাকড়শার বিস্তৃত ভারি জাল জড়িয়ে যাচ্ছে সারা গায়ে, মুখে। অদ্ভুত রকমের একটা থমথমে আওয়াজ হচ্ছে চারদিক থেকে।


নভেম্বর ০১, ২০১৭

তৃষ্ণাকুমারী (২)

তৃষ্ণাকুমারী (২)

দুপুরের দিকে মেঘ মেঘ ছিল আকাশ, আর বিকেলে মেঘ কেটে গিয়ে সোনার রঙের মতো আলো ছড়িয়ে রইল। প্রাসাদের ওপর পাথরের যে সিংহমূর্তি, চকচক করতে থাকে। আর উজ্জ্বল হয়ে ওঠে রানির সিঁথির সিঁদুর। সিংহের পায়ের কাছে বেদিতে বসে তিনি মুঠো মুঠো গম ছড়িয়ে দিচ্ছেন। প্রায় শ দুয়েক কবুতর, হুটোপুটি করে খুঁটে খুঁটে খাচ্ছে।


অক্টোবর ২৩, ২০১৭

তৃষ্ণাকুমারী (১)

তৃষ্ণাকুমারী (১)

ভোর হচ্ছে। রোদের নরম রঙ আস্তে-ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে বাগানে। হাওয়া বইছে। কাঁপছে পাতা। কাঁপছে ফুল। লাল নীল হলুদ আর নানা রঙের ফুল নরম রোদের রঙ মেখে নিয়ে ঝলসে দিচ্ছে সোনালি ভোর। হাওয়ায় হাওয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে সেই ফুলের গন্ধ। এ গন্ধ পৌঁছে যাচ্ছে রাজবাড়ির প্রতিটা কক্ষে।


জুলাই ২৮, ২০১৬