ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

‘করোনা প্রতিরোধে যা যা প্রয়োজন, ব্যবস্থা নিচ্ছি’

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : অক্টোবর ২৯, ২০২০

করোনা প্রতিরোধে যা যা প্রয়োজন, ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২০ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “করোনা ভাইরাস সারা বিশ্বের মানুষকে স্থবির করে দিয়েছে। মানুষ যেন রক্ষা পায়, অর্থনৈতিক গতিশীলতা যেন থাকে। দেশের মানুষের সব মৌলিক চাহিদা পূরণের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। সারাবিশ্বই যেন করোনা ভাইরাসের হাত থেকে মুক্তি পায়। সবাইকে এখনই সর্তক হওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। যা যা প্রয়োজন ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
 
তিনি আরো বলেন, “স্বাধীনতা অর্জনের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। এজন্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। ১৯৪৮ থেকেই মুক্তি সংগ্রামের শুরু, মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি। তাহলে বিজয়ী জাতি হিসেবে কেন মানুষের কাছে আমরা হাত পেতে চলবো? তাই আমাদের স্বনির্ভরতা অর্জন করতে হবে।”

স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনারা প্রতিটি ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন। প্রতিবছর ২৫ মার্চ আমরা এই পুরস্কার দিয়ে থাকি। এবার করোনার কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। জাতির জনকের জন্মশতবর্ষের অনুষ্ঠানও জনসমাগম না করে করার চেষ্টা করলাম। তবে করোনার মধ্যেও আজ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য ধন্যবাদ। আমি বলেছি, যেহেতু স্বাধীনতা পুরস্কার, যেভাবেই হোক পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে এটি তুলে দিতে হবে।”

শেখ হাসিনা আরো বলেন, “সরকার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’র স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছে বলেই ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া সম্ভব হয়েছে। আমরা যেন স্বাধীন জাতি হিসেবে মর্যাদা নিয়ে চলতে পারি। বাংলাদেশকে আমরা দারিদ্র্যমুক্ত করবো, উন্নত-সমৃদ্ধ করবো।”

উল্লেখ্য, করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে মার্চে অন্যান্য রাষ্ট্রীয় কর্মসূচির পাশাপাশি স্বাধীনতা পদক দেয়ার অনুষ্ঠানটিও স্থগিত করা হয়েছিল। আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এই পুরস্কারে ভূষিতদের হাতে পদক তুলে দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে পদক তুলে দেন। এ আয়োজনে নিজে উপস্থিত থাকতে না পারার কারণে প্রধানমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করেন।