মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর কবিতা ‘আর কত কাল’

জড় নই, মৃত নই, নই অন্ধকারের খনিজ, আমি তো জীবন্ত প্রাণ, আমি এক অঙ্কুরিত বীজ; মাটিতে লালিত ভীরু, শুদু আজ আকাশের ডাকে মেলেছি সন্দিগ্ধ চোখ, স্বপ্ন ঘিরে রয়েছে আমাকে

যেহেতু কারিশমাকে আধাআধি চিনি সেহেতু অজগরটি মায়া হয়ে রইল আমাদের মাঝে। যেহেতু এ চেনা মায়া তাই বিষ পান করে আমি মাতাল হয়ে ক্রিস ডি বার্গের লেডি ইন রেডের কনসার্টে

আজকাল বড় দ্রুত পূর্ণিমা আসছে  একটার পর একটা, গায়ে গায়ে লেগে যাচ্ছে জরা-ব্যাধি-মৃত্যুর মতো শ’য়ে শ’য়ে রাত, মিছিলে মুখর হচ্ছে শোকের সেতার

কাবিন করা বউয়ের ওপর থেকে উঠিয়ে নিলাম সমস্ত অধিকার/এখন আমি নিঃশব্দে বসি থাকি বসে থাকি— আমেরিকান অ্যাম্বেসি/সুন্দরী নারী, সুন্দরী গুণবতী নারী, কিংবা নারী— একান্ত আকাঙ্ক্ষার

চলে যাওয়ার দিনটি বড় অদ্ভুত/কেউই জানে না, শুধু যে যায় সে জানে/চলে যাওয়াটা কিছুই নয়/কেবল এক গুলঞ্চ লতার হেলে পড়া সামান্য হাওয়ায় এপাশ থেকে পাঁচিলের ওই পাশে

অস্বীকার করতে করতে এক আগরবাতি জ্বলা সন্ধ্যায় আচমকা আমায় তুমি দিয়েছ স্বীকৃতি। তারপর এও বলেছ, `তোমার কবিতা আমার ভালো লাগে।`

এই পৃথিবীর যা কিছু, সব খোলস দিয়ে ঢাকা/খোলসটাকেই জীবন ভেবে চলছে জীবন চাকা/শূন্য থেকে নিখিল নভে খোলস ভাঙার জ্ঞান/শিখতে গিয়ে পেলাম খুঁজে পবিত্র কোরআন

সন্ধ্যা হলেই কিছু বাতাস আমাকে ঘিরে আলাপচারিতায় মাতে— সুখ-শীত নেমে আসে মারণাস্ত্র বিকেলে;কুয়াশা মোড়া কাজীরট্যাকে খালের শীতে পানিতে সাদা কুয়াশা খেলা করে