কাজী জহিরুল ইসলামের আত্মগদ্য ‘আমার বিচিত্র জীবন’

প্রথমেই চোখে পড়ল নিচে একটা কলকাতার গলি। গলির মোড়ে রাত্রি দাঁড়িয়ে আছে। রাত্রি আমার কলেজে পড়ত। একই ইয়ার। রাত্রি একটুও বদলায়নি। না না, আমিই ভুল করছি, এত ২০১১ সাল। 

রতনদার মা রাস্তায় রাস্তায় গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ভিক্ষে করতেন। ট্র্যাফিক পুলিশ গাড়ি দাঁড় করালে তিনি গাড়ির সামনে এসে বলতেন, ক’টা পয়সা দেবেন? আমার স্বামীর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন...

রতনদা পুরোনো বই বিক্রি করতেন আমাদের পাড়ায়। ওনার কাঁধের ঝুলিটা শেকড়ের মতো প্যাঁচানো থাকত। রতনদা সাধারণত র চা খেত খুব, দু-দশটা বিড়ি।

শায়িত বাওবিআতি। ওঠানামা করছে তার ছোট্ট বুক। মুখ, মুদিত আঁখি, গাল ও ঠোঁট থেকে বিচ্ছূরিত সর্বনাষা সৌন্দর্য। যা দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন মৃত রাজা। যার চোখ সম্রাট কায়কাউস বাজপাখির মাধ্যমে পাঠিয়েছেন

কায়কাউস চালাক মাল। যত সহজে তারে কাবু করবো ভেবেছিলাম তত সহজ নয় বিষয়টা। সে পাখির মাধ্যমেও খবর রাখে। প্রাসাদে আসাই যার নিয়তি ছিল, সে তবুও আসলো না। রুকাইয়াকে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা আমার বৃথা গেল।

কল্পনায় কাটে রাতের পর রাত। এই কল্পনার ভেতরেই ঘুমিয়ে পড়ি। বড় হালকা লাগে নিজেকে। বুঝি না সুজানের প্রতি এ আমার কেমন প্রেম! যা কোনো লৌকিক চাওয়া পাওয়ার অধীন নয়

বনরক্ষককে বললাম এমন কুঞ্জবন বানাতে, চাঁদের আলোতে সেটা দেখে যেন অকবিরও কবিতা লিখতে ইচ্ছা করতে। কামশীতলা নারীর মধ্যেও যেন কাম জাগ্রত হয়।

শুনেছি ফাইজারের রাজা কায়েস মালিক লুচ্চা প্রকৃতির। সেই লুচ্চা রাজাই কথা নেই বার্তা নেই অতর্কিত পথিমধ্যে হামলা চালালো। রাজা দামহুরিয়াত সেই যে ঘোড়া থেকে পড়ে কুপোকাত, দুটো বর্শার আঘাতেই বেঘোরে প্রাণ হারালো।