কাজী জহিরুল ইসলামের আত্মগদ্য ‘আমার বিচিত্র জীবন’
আগস্ট ২৬, ২০২৫
এক বিকেলে আলাউদ্দিন কানের কাছে মুখ এনে আস্তে করে বলে, জহির ভাই, চলেন বিয়ার খাই
প্রেমকাহিনি
দামুহিআতের রাজরানীর রূপের প্রশংসা কানে যখন এসে পৌঁছালো, নাম জানলাম তার বাওবিহাতবি। আদেশে দিলাম সেনাপতিকে, প্রস্তুত হও! সৈন্য সাজাও! গর্দভ দামহিআতের রাজ্য দখল করবো।
জানুয়ারি ০৯, ২০২১
শ্রেয়া চক্রবর্তীর উপন্যাস ‘বেহেস্ত’
আমি পা বাড়াই ফেরার পথে। ঢাল বরাবর নামতে থাকি। নামতে নামতে দেখি, পথের ওপর দিয়ে আড়াআড়ি বয়ে যাচ্ছে একটি ঝরনা। আমি এ পথেই এসেছি। অথচ এই ঝরনাটি আমার চোখে পড়েনি তো। কী আশ্চর্য!
জানুয়ারি ০৮, ২০২১
প্রেমকাহিনি
আমার স্বামী যেদিন যুগপৎ দুই বেশ্যার সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হলো, আর আমাকে তা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতে হলো, তখন মোটেও অবাক হইনি।
জানুয়ারি ০৭, ২০২১
শ্রেয়া চক্রবর্তীর উপন্যাস ‘বেহেস্ত’
আমার দুচোখ ভেঙে আসছে তখন ঘুমে। এত ঘুম যেন বহুদিন আসেনি আমার জীবনে। এতদিন কেবল ক্লান্ত ছিলাম। আজ আমি শ্রান্ত। কাউচে গা এলিয়ে দেওয়ার সাথে সাথেই আমি ঘুমের সমুদ্রে ডুবে যাই।
জানুয়ারি ০৩, ২০২১
মহাকালে রেখাপাত
দেওয়ানবাগী যে নিশ্চিতভাবেই নরকবাসী হবেন, সেই সার্টিফিকেট তারাই দিয়ে দিচ্ছে। কবরে তারাই মনকির-নকিরের ভূমিকা পালন করবে। গজবের ফেরেশতা হিসেবে তারাই মুগুর নিয়ে হাজির হবে।
ডিসেম্বর ২৯, ২০২০
শ্রেয়া চক্রবর্তীর উপন্যাস ‘বেহেস্ত’
সারা রাত উল্টে পাল্টে বইটি পড়ি। বইটির মধ্যে যা ছিল তা কেবল লিখিত শব্দ নয়, তা লেখকের আত্মা। কী অপূর্বভাবে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন মানব মনের অস্থিরতা, সংশয়, অনিশ্চয়তা বোধ এবং দ্বন্দ্বগুলিকে।
ডিসেম্বর ২৬, ২০২০
শ্রেয়া চক্রবর্তীর উপন্যাস ‘বেহেস্ত’
তখন সন্ধ্যা জমে উঠেছে পুরোদমে। চলছে নাচগান আর সুরাপান। বারের এককোণে বসেছিল এক ভিনদেশি পুরুষ। হঠাৎ মদ্যপ অবস্থায় আমারার দিকে এগোয়।
ডিসেম্বর ১৯, ২০২০
মহাকালে রেখাপাত
এই বাংলা জনপদকে বুঝে উঠতে আমার কিছুটা সময় লেগেছিল। আমি তল পাচ্ছিলাম না। খুঁজছিলাম। কেবলই খুঁজছিলাম। কিন্তু কী খুঁজছিলাম, ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না
ডিসেম্বর ১৬, ২০২০
শ্রেয়া চক্রবর্তীর উপন্যাস ‘বেহেস্ত’
বেহেস্তে নিজের ঘরে ফিরে বিধ্বস্ত পাখিটির মতো বসে থাকি। যে নীড় নিজের ভেতর একটু একটু করে নির্মাণ করা শুরু করেছিলাম, হঠাৎ সে যেন ছিন্নভিন্ন হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়লো এদিক ওদিক
ডিসেম্বর ১২, ২০২০
আমার বন্ধু শবনম
সন্ধ্যা নামতেই এখন কুয়াশা জমতে শুরু করে। রাজধানীর এই অঞ্চলের বাতিগুলো খুবই শক্তিশালী। দোকানপাট থেকেও আলো আসে অনেক। কিন্তু তবু দশ-বারোহাত দূরে গিয়ে কুয়াশায় দুর্বল হয়ে পড়ে আলো। তারপরে তো পুরোটাই ঝাপসা।
ডিসেম্বর ১০, ২০২০























