কাজী জহিরুল ইসলামের আত্মগদ্য ‘আমার বিচিত্র জীবন’

কোনো কিছুতে বিজয়ী হতে হলে আমরা কার বিরুদ্ধে লড়ছি, সেই ব্যাপারে পরিষ্কার জ্ঞান রাখতে হবে। তবেই না আমরা সেই শত্রুর মোকাবিলা করতে পারবো। নামাজে আমাদেরকে অমনোযোগী করে শয়তান।

যে পথ চেনে তার থেকেই পথের দিশা নিতে হয়। পথিক বলতে পারে এ পথের শেষ কোথায়। প্রতিদিন যেসব কাজ আমরা করি বিশ্বজয়ীরাও কি সে সব কাজ করত?

আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর। আমাকে ডাকতে থাকে, নামাজের দিকে আসো। কল্যাণের দিকে আসো। তখন এই অগোছালো আমি অন্তত একটা ডিরেকশানে যাবার পথ খুঁজে পাই।

আল্লাহর তরফ থেকে একমাত্র নামাজ ছাড়া কোনো আদেশ আকাশে অবতীর্ণ হয়নি? রোজা, হাজ্জ, হিজাব ইত্যাদি বিধানগুলো নাজিল হয়েছে পৃথিবীর মাটিতে

তুমি বহু কষ্টে সফল হলে কিন্তু যদি নীতিপরায়ণ না হও তবে তোমার সমস্ত অর্জন অনৈতিকতার অন্ধকারে বিসর্জন হয়ে যাবে।

রসূল (সা.) তাঁর নামাজে এক রাকাতেই সুরাহ বাকারাহ পড়ে শেষ করে ফেলতেন, অথচ সবচেয়ে ছোট সূরাটা পাঠ করে, কোন রাকাআতে আছি এটা মনে রেখে কোনোমতে আমরা নামাজ শেষ করি।

আমার পকেটে সেদিন ছিল ১৫ টাকা। তখনো আমি মানিব্যাগ ব্যবহার শুরু করিনি। আসলে এতই অল্প টাকা থাকত কাছে যে মানিব্যাগে রাখলে তার ইজ্জতই চলে যেত। কেবলে লেখাপড়া শেষ করে চাকরিতে ঢুকেছি।

মানুষের যে ক’টি গুণ তাকে এগিয়ে নিয়ে যায় তার একটি ধৈর্য। ধৈর্য যার আছে সে বিশ্বজয় করতে পারে। ধৈর্যশীল ব্যক্তিকে ঈশ্বর সবকিছু দেন। যে ধৈর্য ধারণ করে সে সবকিছু পায়।