কাজী জহিরুল ইসলামের আত্মগদ্য ‘আমার বিচিত্র জীবন’

একবার ভাবো, পাঁচ মিনিটের জন্য একটি দূরপাল্লার ট্রেন ফেল হয়ে গেলে কত ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় পুনরায় ওই স্থানের ট্রেন পাবার জন্য! আর কত ভোগান্তিই না পোহাতে হয় তখন!

সাধুর কথায় রাজা রাজি হলেন আর সাধু রাজপুত্রের কক্ষে প্রবেশ করলেন। কিছুক্ষণ যেতে না যেতেই রাজপুত্র হাসতে হাসতে তার কক্ষ থেকে বেরিয়ে এসে এক দৌড়ে রানিমার কোলে এসে বসলেন।

অনন্ত ধৈর্য, অনন্ত পবিত্রতা, অনন্ত অধ্যবসায়, এই তিনটি জিনিস থাকলে যে-কোন সৎ কাজে অবশ্যই সফল হতে পারা যায়; এই হল সিদ্ধিলাভের রহস্য।

নিজেকে যেমনটি ভাববে, ক্রমশ তুমি তেমন হয়ে যাবে। নিজেকে ছোট ভাবাই ধ্বংসের প্রধান কারণ। তুমি ছোট নও, তুমি পাপী নও; তুমি বোকা নও, নিজেকে সবার থেকে সেরা ভাবো, দেখবে তুমি অবশ্যই সেরা হবে।

বালুকণা দ্বারা ঘষেই দাঁ ধারালো করা হয়, ছোট ছোট বালুকণা, কিন্তু একত্রে কী ভীষণ ক্ষমতা! এমনিভাবে তোমার ছোট ছোট চেষ্টাও তোমার মেধাকে ক্ষুরধার করে তুলবে।

মানুষ যাই করতে যাক না কেন, তার জন্য প্রথম যে বস্তুটির প্রয়োজন তা হলো সাহস। সাহস অবলম্বন না করলে একটি পদক্ষেপও ফেলা যায় না। জীবনটা ঝুঁকি নেয়ার জন্য। প্রতি পদক্ষেপে বিপদ আসতে পারে।

কেউ কাউকে উন্নত করতে পারে না, বিবেকযুক্ত মনের সাহায্যে মানুষ নিজেই নিজেকে উন্নত করে। সেই বিবেক ও বুদ্ধিকে জাগ্রত করতে হবে। আমি জানি তুমি পারবে।

নিজের এই জড় দেহটাকে তুমি মনে করো না। তোমার আত্মাকে তুমি মনে কর। জান তুমি এক অমিত জ্ঞানের সমুদ্র। তুমি স্থির হয়ে আছ। ইচ্ছাশক্তির ঝড় তোমার হৃদয়ে উঠলেই তুমি প্রলয়ংকরী প্রতিভা হয়ে উঠবে।