কাজী জহিরুল ইসলামের আত্মগদ্য ‘আমার বিচিত্র জীবন’

পর্ব ৩৫

কাজী জহিরুল ইসলামের আত্মগদ্য ‘আমার বিচিত্র জীবন’

আগস্ট ২৬, ২০২৫

এক বিকেলে আলাউদ্দিন কানের কাছে মুখ এনে আস্তে করে বলে, জহির ভাই, চলেন বিয়ার খাই


স্ত্রী এবং রক্ষিতা

পর্ব ২

স্ত্রী এবং রক্ষিতা

ঘড়ির কাঁটাটা এমন বাজেভাবে সাউন্ড করে, শুনলেই বাদলের মেজাজ বিগড়ে যায়। ঘড়িতে অ্যালার্ম না দিয়েও উপায় নাই। আজকে সাতসকালে তাকে রওনা দিতে হবে চট্টগ্রাম। ঘড়ির অ্যালার্ম শুনেই বাদল ধড়ফড়িয়ে উঠে পড়ে বিছানা থেকে। বিছানায় বসে দু’পা ঝুলে রেখে আবলতাবল অনেক কিছু ভাবে।


অক্টোবর ১০, ২০১৮

স্ত্রী এবং রক্ষিতা

পর্ব ১

স্ত্রী এবং রক্ষিতা

হারামির বাচ্চা! তোর জন্য আমার জীবনটা শেষ করে দিলাম, তোর জন্য বাচ্চাদেরও ঠিকমতো দুধ খেতে দেইনি, তোকে কাছে পাবার জন্য কী না করেছি, তুই একটা জানোয়ার! তুই একটা কুকুর! তোরে কুকুর দিয়ে চোদানো উচিৎ... এরকম অশ্লীল খিস্তি-খেউর করা মিতালীর নিত্যদিনের কাজ।


অক্টোবর ০৯, ২০১৮

রংবাজ

শেষ পর্ব

রংবাজ

দুইমাস পরের কথা। ১৩৬ নম্বর বনগ্রাম রোড সেজেছে নতুন সাজে। সারা বাড়ি মরিচ বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে। বিয়ের বিশাল একটা গেট করা হয়েছে। সারাবারিতে আনন্দের বন্যাধারা বয়ে চলছে। মাইকে জোরে জোরে বাজছে, আজা তুঝকো পুকারে মেরে গিত, ও মেরে মিতোয়া...


অক্টোবর ০১, ২০১৮

রংবাজ

উপন্যাস ১৩

রংবাজ

রাত প্রায় দুটো ছুঁই ছুঁই। পুষ্পবালা দেবী বুড়ো মানুষ, এত রাত জাগতে পারে না। কাস্টমার রাত ১২টার পরে আর অ্যালাও করে না। কিন্তু বাবু-হিরনের ব্যাপারটা ভিন্ন, আজ ওদের কারণেই নিশ্চিন্তে ব্যবসা করে দুপয়সা রোজগার করছে সে। সেকারণেই ওদের কোনো টাইম নাই। যতক্ষণ ইচ্ছা থাকতে পারে ওরা।


সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৮

রংবাজ

উপন্যাস ১২

রংবাজ

শুধু রুম ভাড়া দিয়ে চলছিল না ওর। সত্তর দশকের শেষ দিক থেকে পুষ্পবালা দেবী নতুন একটা ব্যবসার সন্ধান পায় তার এক ভাড়াটিয়ার মাধ্যমে। ভাড়াটিয়া ছোকড়া সিনেমায় নাচের মেয়ে সাপ্লাই দিতো। ও একদিন এসে পুষ্পবালা দেবীকে এই ব্যবসার বুদ্ধিটা দেয় এবং ঐ প্রথম কাস্টোমার নিয়ে আসে। ব্যবসাটা হলো মদের।


সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৮

রংবাজ

উপন্যাস ১১

রংবাজ

গোপাল আরেকটা বড় কাজ দিয়েছে বাবুকে। বাবু এক সপ্তাহ ধরে শুধু বিষয়টা নিয়ে ভেবে চলেছে আদৌ করবে কিনা কাজটা। এখন পর্যন্ত হ্যাঁ বলেনি গোপালকে। কাজটায় বিশাল একটা রিস্ক আছে। এই রিস্কটা থেকে বাঁচার জন্য দেশের বাইরে কমসেকম বছরখানেক থাকতে হতে পারে।


সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৮

রংবাজ

উপন্যাস ১০

রংবাজ

অনেক বেলা হয়ে গেছে। বাবু ঘুমাচ্ছে বেঘোরে। অনেক রাতে ফিরেছে ও। হঠাৎ ওর দরজায় নক। বাবু ধড়ফড় করে উঠে দরজা খুলে দেয়। সিমা ঢোকে ভিতরে। সবকটা জানালা বন্ধ, ঘরের ভিতরটা একেবারে অন্ধকার দিনের বেলাতেও। ফুলস্পিডে ফ্যান চলছে। বাবুর বদভ্যাস ফুলস্পিডে ফ্যান চালিয়ে ঘুমানো।


সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮

রংবাজ

উপন্যাস ৯

রংবাজ

বাবু ওর পাড়াতে একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করে। যখনি ও বের হয়, পাড়ার দোকানদার থেকে শুরু করে সবাই, এমনকি পাড়ার সবচাইতে বাজে ছেলে বাবুল, যাকে সবাই ভীষণ ভয় পায়, যাকে ও কিছুদিন আগে মারতে চেয়েছিল, সেও বাবুকে দেখা মাত্র সালাম দেয়, সরে দাঁড়ায়। বাবু আশ্চর্য হয়ে যায় সবার আচরণে।


সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮

রংবাজ

উপন্যাস ৮

রংবাজ

বাবুর মা’র খুব খারাপ লাগে শুনে যে ওরা চাকরি থেকে সাসপেন্ড হয়ে গিয়েছে। একমুহূর্ত কী যেন ভেবে উনি বলেন, একটু দাঁড়ান। বাবুর মা ভিতরে যান এবং বাবুকে বলেন, ওই পুলিশ দুইটা এসেছে যারা তোকে মেরেছিল। এই কথাটা শুনে বাবুর গলা শুকিয়ে যায় ভয়ে। কাঁপা গলায় মাকে জিজ্ঞাসা করে, কেন এসেছে?


সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৮

রংবাজ

উপন্যাস ৭

রংবাজ

বাবু কিছুই শুনতে পায় না, শুধু কাঁদে। ওখান থেকে ওকে সেন্ট্রি হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে গিয়ে একটা চারদিক বন্ধ ট্রাকে ওঠায়। ও কিছুই বুঝতে পারে না, কেমন মন্ত্রমুগ্ধের মতো চলতে থাকে। ট্রাক ছেড়ে দেয়। ট্র্যাকের ভিতর কোনো বসার জায়গা নাই, দাঁড়িয়ে থাকতে হয় সারা পথ।


সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৮