কাজী জহিরুল ইসলামের আত্মগদ্য ‘আমার বিচিত্র জীবন’

পর্ব ৩০

কাজী জহিরুল ইসলামের আত্মগদ্য ‘আমার বিচিত্র জীবন’

আগস্ট ০৮, ২০২৫

বাইরে বেরিয়ে দেখি, যা ভেবেছি তাই, সালাহউদ্দিন। শুধু ও একা না, ওর সঙ্গে আরো তিনজন। বাশার, সাব্বির এবং একজন অচেনা কেউ। বাশার ছয়ফুট উঁচু এক যুবক, কোকড়া চুল, চোখ দুটো আগুনের মত লাল


রংবাজ

উপন্যাস ১১

রংবাজ

গোপাল আরেকটা বড় কাজ দিয়েছে বাবুকে। বাবু এক সপ্তাহ ধরে শুধু বিষয়টা নিয়ে ভেবে চলেছে আদৌ করবে কিনা কাজটা। এখন পর্যন্ত হ্যাঁ বলেনি গোপালকে। কাজটায় বিশাল একটা রিস্ক আছে। এই রিস্কটা থেকে বাঁচার জন্য দেশের বাইরে কমসেকম বছরখানেক থাকতে হতে পারে।


সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৮

রংবাজ

উপন্যাস ১০

রংবাজ

অনেক বেলা হয়ে গেছে। বাবু ঘুমাচ্ছে বেঘোরে। অনেক রাতে ফিরেছে ও। হঠাৎ ওর দরজায় নক। বাবু ধড়ফড় করে উঠে দরজা খুলে দেয়। সিমা ঢোকে ভিতরে। সবকটা জানালা বন্ধ, ঘরের ভিতরটা একেবারে অন্ধকার দিনের বেলাতেও। ফুলস্পিডে ফ্যান চলছে। বাবুর বদভ্যাস ফুলস্পিডে ফ্যান চালিয়ে ঘুমানো।


সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮

রংবাজ

উপন্যাস ৯

রংবাজ

বাবু ওর পাড়াতে একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করে। যখনি ও বের হয়, পাড়ার দোকানদার থেকে শুরু করে সবাই, এমনকি পাড়ার সবচাইতে বাজে ছেলে বাবুল, যাকে সবাই ভীষণ ভয় পায়, যাকে ও কিছুদিন আগে মারতে চেয়েছিল, সেও বাবুকে দেখা মাত্র সালাম দেয়, সরে দাঁড়ায়। বাবু আশ্চর্য হয়ে যায় সবার আচরণে।


সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮

রংবাজ

উপন্যাস ৮

রংবাজ

বাবুর মা’র খুব খারাপ লাগে শুনে যে ওরা চাকরি থেকে সাসপেন্ড হয়ে গিয়েছে। একমুহূর্ত কী যেন ভেবে উনি বলেন, একটু দাঁড়ান। বাবুর মা ভিতরে যান এবং বাবুকে বলেন, ওই পুলিশ দুইটা এসেছে যারা তোকে মেরেছিল। এই কথাটা শুনে বাবুর গলা শুকিয়ে যায় ভয়ে। কাঁপা গলায় মাকে জিজ্ঞাসা করে, কেন এসেছে?


সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৮

রংবাজ

উপন্যাস ৭

রংবাজ

বাবু কিছুই শুনতে পায় না, শুধু কাঁদে। ওখান থেকে ওকে সেন্ট্রি হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে গিয়ে একটা চারদিক বন্ধ ট্রাকে ওঠায়। ও কিছুই বুঝতে পারে না, কেমন মন্ত্রমুগ্ধের মতো চলতে থাকে। ট্রাক ছেড়ে দেয়। ট্র্যাকের ভিতর কোনো বসার জায়গা নাই, দাঁড়িয়ে থাকতে হয় সারা পথ।


সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৮

রংবাজ

উপন্যাস ৬

রংবাজ

রাত ঠিক ১টার দিকে একজন সেন্ট্রি আসে হাজতের কাছে। দরজা খুলে বাবুকে ইশারা করে ওর সাথে যাওয়ার জন্য। বাবু উঠে দাঁড়িয়ে রওনা দেয় ওর সাথে। গলিটা পেরিয়ে বড় ঘরটার সামনে এসে দাঁড়ায় বাবু আর ওই সেন্ট্রি। ৩টা টেবিলে তিনজন বসে আছে।


সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৮

ভূত বিলাসের ঘর

অন্তিম পর্ব

ভূত বিলাসের ঘর

সুবর্ণরেখা নদীর ধারে শ্মশান। ইলেকট্রিক চুল্লী যখন ধীরে ধীরে গ্রাস করছে নিস্তরঙ্গ একটি অস্তিত্বকে, মন কেমন ভারী হয়ে এলো। এই সেই মহামান্য মৃত্যু, যেখানে এসে সব শেষ হয়, সকল আনন্দ বেদনা প্রাপ্তির অহং হারানোর শোক নিরেট মৃত্যুর কোলে এসে মিশে যায়।


সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৮

রংবাজ

উপন্যাস ৫

রংবাজ

বাবু মন দিয়ে পড়ছে, আর মাত্র চারদিন পর মেট্রিক পরীক্ষা। ওর বাইরের দিকের দরজায় কে যেন কড়া নাড়ে, ও দরজা খোলে। দাঁড়িয়ে আছে রিপন, ঘামছে দরদর করে। ও প্রশ্ন নিয়ে তাকায় রিপনের দিকে। রিপন বলে ওঠে, কিসমত শেষ, পইড়া আছে বনগ্রামের মাথায়।


সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৮

রংবাজ

উপন্যাস ৪

রংবাজ

আজ কিসমত রিক্সা পায়নি। হেঁটে হেঁটে আসছে রথখোলা থেকে টিপুসুলতান রোড হয়ে বনগ্রামের দিকে। টিপুসুলতান রোড থেকে ও বাঁয়ে ঢুকে যায় বনগ্রাম রোডে। ওই কোণাটা ভীষণ অন্ধকার। লোকজন সব দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পেচ্ছাপ করে। কিসমত খানিকটা সাবধানী হয়ে হাঁটছে।


সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৮

রংবাজ

উপন্যাস ৩

রংবাজ

সন্ধ্যায় বাবু বাসায় ফিরল তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে। রোকেয়া দৌড়ে যায় বাবুর ঘরে, মামা, মামা জানেন আইজকা কী হইছে? নানিরে কিসমইত্তা গাইল্লাইয়া থয় নাই, মা বাপ তুইলা গাইল্লাইছে। সারাদিন পানি ছাড়ে নাই, আমরা কিচ্ছু রানতে পারি নাই।


সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮