ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর শিক্ষার গতিপ্রকৃতি

নবিদের আবির্ভাব কোনো নির্দিষ্ট স্থান ও কালে হয়। আর তাদের কাছে বাণীও আসে তার গোত্রের ভাষাতেই। শেষ নবির (স.) মাতৃভাষা আরবি ছিল। তাই আল্লাহর পাঠানো বাণী সেই মাতৃভাষাতেই গ্রন্থিত হলো।

পথ চলেছিল একটানা বাইরের দিকে, তার নিজের মধ্যে নিজের অর্থ ছিল না। পৌঁছল এসে ঘরে, সেখানে অর্থ পাওয়া গেল, আরম্ভ হল ভিতরের লীলা।

একটি সত্য স্বভাবতই চোখে পড়ে। এ যাবত সেসব মতবাদের উৎপত্তি হয়েছে, তাতে মানবজীবনের কোনো বিশেষ দিকের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে, তারই আলোকে গোটা জীবনের ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য হয়েছে প্রয়াস।

মানুষ শাখা বিশেষ, আর প্রকৃতি মূল বা শিকড়; তাহলে যে ইচ্ছাশক্তি, বোধশক্তি এবং পূর্ণতা শাখাতে রয়েছে, সেটা কি মূলে বা শিকড়ে না থাকতে পারে?

গ্রীসে দেখা যায়, সে সময়কার গণতন্ত্রীরা ধর্মকে তাদের শাসন ব্যবস্থার ভিত্তি দৃঢ় করার কাজে লাগায়। ধর্ম ও রাষ্ট্রনীতির মাঝে সংযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে শোকগাথা নাটক এক অপূর্ব মাধ্যম হিসাবে গৃহীত হয়।

সাতচল্লিশের দেশভাগ ও সাম্প্রদায়িক বিভেদের প্রেক্ষিতে ১৯৭৩ সালে তৈরি হয় এমএস সথ্যুর ছবি গরম হাওয়া। ইসমত চুঘতাইয়ের একটি রচনার পুননির্মাণ করে চিত্রনাট্য লেখেন কাইফি আজমি ও শামা জাইদি।

লেখালেখির জগতে মূলত দুধরনের সাহিত্যিক দেখা যায়। একশ্রেণি মানব মনের জটিল মনস্তত্বকে নিয়ে কাঁটাছেঁড়া করেন এবং সেক্ষেত্রে ভাষা একটা প্রধান বিষয় হয়ে ওঠে। ভাষার নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলতে থাকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে

একজন মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পিতার সন্তান হিসেবে তার কাছ থেকে এ ধরনের ছড়াই প্রত্যাশিত। ছড়া চেতনায় কোন পক্ষের প্রতি তার কোন অনুকম্পা নেই। তিনি নির্ভয়ে, নির্দ্বিধায় লেখেন।