কাজী জহিরুল ইসলামের আত্মগদ্য ‘আমার বিচিত্র জীবন’

বাউল রণেশ ঠাকুরের বাউলগানের আসরঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে দুদিন আগে। আমরা সাহিত্য-সংস্কৃতিকর্মীরা নীরব, নিশ্চুপ। যেন কিছুই ঘটেনি। যেন ওটা একটি স্বাভাবিক ঘটনা। এমন ঘটনা হরহামেশাই ঘটে থাকে।

মন্দিরের মর্মর পাথরের মূর্তি এ প্রার্থনা শুনল কিনা নিতি সেটা বুঝল না, উপরের সেই অদৃশ্য পরমপুরুষ একথা জানল কিনা নিতি সেটাও বুঝতে পারল না। অনেক কিছু না বুঝেও নিতির মন হালকা হলো।

আসমা তেমন সুন্দরী নয়। আসমা থেকে ঢের সুন্দরী মেয়ে এ পাড়ার অলিতে-গলিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। তবুও সুমন সবার আগে এ ঘরেই আসে। এখানে এলে তার লাম্পট্যে মরিচা ধরে। কেমন যেন বোকা বোকা হয়ে যায়।

একটা গলির মধ্যে চারটা ছায়ামূর্তি অদৃশ্য হয়ে গেল। দাড়িঅলা মুরব্বি একটা শাড়ি পরা মহিলার পাল্লায় পড়ল। মহিলাটার কাছে যেতেই `একহাজার টাকা লাগবে` বলে ডান হাতের তর্জনিটা উঁচু করে মহিলা মুখ বেঁকিয়ে দাঁড়াল।

যরত উমর বলছেন, আমি রাসুলকে বলতে শুনছি যে, তালাকপ্রাপ্তা নারী থাকা-খাওয়ার খরচ পাবে। ইমাম ইবনুল কায়্যিম তার `যাদুল মা`আদ`-এ নানান তথ্য-যুক্তির ভিত্তিতে বলতেছেন, হযরত উমর থেকে এরকম কোনও বর্ণনার প্রমাণই নাই।

যরত আয়েশা বলতেন, `ফাতেমার সমস্যা কী? এই হাদিস বলার সময় আল্লাহর ভয় তার মনে জাগে না?` হযরত আয়েশা ফাতেমার বর্ণিত হাদিসের ব্যাখ্যাও দেন। উনি বলেন, ফাতেমার সাথে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ঝামেলা ছিল।

ফোনে কান্নাকাটির মধ্যে মা অসংলগ্ন কথাবার্তায় যা বললেন, তা শুনে নিতি স্তব্ধ হয়ে মাটিতে বসে পড়ল। হঠাৎ তড়িতাহত হলে মানুষের যেমন হয়, তেমন নির্বাক হয়ে মুষড়ে পড়ল সে। দীপ পাশেই বসে ছিল।

জ্ঞানের স্তর তিনটি। প্রথম স্তরে ওঠার পর নিজেকে মহাপণ্ডিত মনে হয়। মনে হয়, সবই তো পড়ে ফেললাম, পড়ার মতো আর তো কিছু নেই। এই পাণ্ডিত্য সে প্রচারও করে বেড়ায়। বিপুল ঔদ্ধত্য দেখা দেয় তার মধ্যে।