কাজী জহিরুল ইসলামের আত্মগদ্য ‘আমার বিচিত্র জীবন’

জীবনে যত প্রকারের মাছের সাথে দেখা হয়েছে আমার তার স্মৃতিভারও একেবারে কম নয়। যার কিছু জানি আমি আর বাকিটুকু হাওড়পাড়ের হিজলের গাছ।

এলিজাবেথ কুবলার রশের রেফারেন্স দিয়ে জিজেক তার PANDEMIC!:COVID-19 SHAKES THE WORLD বইয়ে অতি সম্প্রতি দেখান, যেকোনো নিরাময়-অসম্ভব রোগের প্রাদুর্ভাবে আমাদের প্রতিক্রিয়া হয় পাঁচ পর্যায়ে।

মানুষের প্রয়োজনের তো আসলে শেষ নেই। আর অভাবের কারণও অজস্র। ভালো থাকা মন্দ থাকা তাই সম্পূর্ণ ভেতরের ব্যাপার। অন্তর্জগতের ব্যাপার। মানুষের জীবনের বেসিক প্রয়োজনগুলি মেটার প্রয়োজন আছে। সেই লড়াইটা সত্য।

চিজ-বার্গারে কামড় দিতে দিতে সিসিলিয়াকে প্রশ্নটা করেই ফেললাম, সিসিলিয়া, তোমরা কি আমার মেমোরিটাকে ফরমেট করে আগের সব স্মৃতি ভুলিয়ে দিতে পারো না?

আজ আমার আর সেঁওতির তৃতীয় বিবাহ বার্ষিকী। সেঁওতির সাথে বিয়ের তিন বছর হয়ে গেল, এটা অতিরিক্ত। এতদিনেও আমার সাথে তার স্বাভাবিক সম্পর্ক হলো না। খুব কম দেখা হয়। কোর্ট ম্যারেজ করেছি না যেন খুনের আসামি।

সিসিলিয়া দারুণ একটা মেয়ে। যতই ওকে দেখছি ততই আমি ওর আচরণে মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছি। তবে এ বিষয়টাও আমি পরিষ্কার বুঝতে পারছি যে, সে অত্যন্ত প্রফেশনাল। ওর দায়িত্বই হচ্ছে আমাকে আগলে রাখা।

তিনদিন ধরে কানাঅলার মতো ঘুরছি। সাথে জুয়েল, আদিত্য, নবী। নবীর গানের দরাজ গলা কিন্তু তাল, লয় কম। তাই গেয়ে আসর জমায়। আর ওদের সাথে থাকতে হলে একই জলে পা না ডুবিয়ে উপায় নেই। জলে না ডুবেও উপায় নাই।

সিসিলিয়ার মুখের হাসিটা এত সুন্দর কেন? আমি সহ্য করতে পারছিলাম না। মুখে সেই অসহ্য সুন্দর হাসি ধরে রেখেই বলল, আপনি যদি চান তাহলে আজ দুপুরে আপনাদের দেশি রুটি, ভাত এবং চিকেন মাসালা অর্ডার করা যাবে।