কাজী জহিরুল ইসলামের আত্মগদ্য ‘আমার বিচিত্র জীবন’

তলস্তয় সেই বিংশ শতকের শুরুতে নারীবাদীদের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন, তারা আর যা-ই করুন, নারীকে দয়া করে ভালোবাসতে ভুলিয়ে দেবেন না। কারণ নারী যেভাবে ভালোবাসতে পারে, পুরুষ তার কণামাত্রও পারে না।

কোনো কবরে একটা ফাটল আছে, সেইটার ভিতরে বরখা পইড়া কাৎরাইতেছিলো। ওরে তুইলা আনার পর দেখা গেল সারা শরীর সাদা। রক্ত পড়তে পড়তে সাদা হয়ে গেছে ও। সবাই নাকি বলতেছিলো পিশাচ রক্ত চুইষা নিছে।

কী নিষ্ফলা কেটেছে গত একটি বছর! নিষ্ফলা। বন্ধ্যা। এমন একটি পঙ্‌ক্তির কথাও মনে পড়ছে না যা নিয়ে সান্ত্বনা পেতে পারি। এক বছরে এমন কোনো লেখা লিখিনি যা নিয়ে বলতে পারি যে, আমি আমার লেখকসত্তার প্রতি সুবিচার করেছি।

বজ্রপাতের শব্দে নড়িয়া উঠিলাম। আকাশ আর নদীর সঙ্গমস্থল হইতে রাশি রাশি আলো মেঘের বক্ষ চিড়িয়া আমার গৃহের চারিপাশ বেষ্টন করিতে উন্মুখ যেন। মনে হইলো, সমগ্র পৃথিবী বৃষ্টির জলে সিঞ্চিত হইতেছে যেন, নবযৌবনা হইতেছে।

প্রমথনাথ বিশীকে নিয়ে নাটোরের মানুষ হিসাবে আমাদের প্রচ্ছন্ন একটি গর্ব আছে। তার বাড়ি এবং জন্ম নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জোয়াড়ি গ্রামে। ঐ টুকুই। তার বেশি নয়।

মেয়েদের সাথে স্বাভাবিকভাবে মিশতে আমার সময় লেগেছে প্রচুর। মনে হতো মেয়েরা যেন কল্পলোকের প্রাণী। এখন কারণ খুঁজতে গেলে মনে হয়, সেই সময় সমবয়সী মেয়েদের সাথে আমার ওঠাবসার কোনো সুযোগ ছিল না।

ক্রিকেট এমনই। নগদ পাওয়া। নয়তো নগদ বিদায়। এমন নগদা-নগদি ব্যাপার আমার পোষায় না। তাই সারাজীবন ধরে যে কাজ করা যায়, সেই সাহিত্যই করছি। ক্রিকেটে যাইনি।

মনে মনে, কোনো এক পাহাড়ের গায়ে ঠেস দিয়ে পড়ে থাকি। অভিমানী বালক যেন। এ সমাজ এ জীবন আমার নয় আমার নয়। অথচ এই মানুষ যেখানেই গিয়ে পড়ুক না কেন সেখানটাই নিজের মতো বানিয়ে নেয়।