কাজী জহিরুল ইসলামের আত্মগদ্য ‘আমার বিচিত্র জীবন’

কোথাও কোনও তাড়া নেই। কুয়াশায় ঝুম হয়ে আছে পাইনের বন। যেন গদের আঁঠার মতো নেশায় লেগে আছে সকালের ঘুমভাঙা চোখ। ঢাল বরাবর পাহাড়ি পথ ধরে এগিয়ে চলেছি আমি ও আমার প্রেমিক। এর হাত ওর মুঠোর ভেতর উষ্ণতায় ঠাসা।

এই দেশের কিছু মানুষ খুব গর্বের সাথে পরিচয় দেয়, আমার পূর্বপুরুষ এসেছিলেন আরব-ইরান-তুরান থেকে। আমরা এই দেশের আদি বাসিন্দা নই। আমার সামনে পড়লে জিগ্যেস করি, আপনার পূর্বপুরুষ কেন এসেছিলেন নিজের দেশ ছেড়ে এই দেশে?

এখন আমি আর সিমু অদ্ভুত সব স্মৃতি নিয়া বসে থাকি। আমাদের খুব একটা দেখা হয় না। পুরানো সেই স্মৃতিগুলা স্বপ্ন আকারে আসে। ও আমাকে ম্যাসেজ দেয়... তোমার কি মনে আছে, আমরা একবার চাঁদের আলোতে গোসল করতেছিলাম

মন ভালো হোক বা খারাপ, তরঙ্গের ফ্রিকোয়েন্সিতে সামান্য হেলদোল হলে কোনো বন্ধুকে ডেকে বলি, ‘চলো কফি খাওয়া যাক।’ শহরের কফিশপগুলো তাই ভীষ

মার্কস সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের রূপরেখা দিয়ে যেতে পারেননি। তবে একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, যে মানুষটি সারাজীবন মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলেছেন, স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য যাকে সেইসময় সবচাইতে বেশি মূল্য দিতে হয়েছে

এই পৃথিবীতে কেউ কারো থেকে হাত পেতে কিছু নেয়ার জন্য জন্মায়নি। এই বিপুলা পৃথিবী প্রতিটি প্রাণের প্রাপ্যটুকু রেখেছে যথাস্থানে। এ তো রাষ্ট্রের ব্যর্থতা যে সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি।

আমি তো ঐশীবাণীপ্রাপ্ত নই। আমাদের মতো মানুষদের রাখা হয় আলো-আঁধারিতে। শেখানো হয়েছে সত্যের বেশি কাছে যেতে নেই। কারণ সত্য সহস্র সূর্যের চাইতেও অগ্নিময়।

মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ছিলেন ক্ষুদ্র বোহরা সম্প্রদায়ভুক্ত শিয়া গোত্রের মুসলমান। বেশিদিনের নয়। তার পিতা পার্সি থেকে মুসলমান হয়েছিলেন। নামাজ-রোজা বা অন্যান্য ইসলামি আচরণ সম্পর্কে নিস্পৃহ ছিলেন জিন্নাহ।