কাজী জহিরুল ইসলামের আত্মগদ্য ‘আমার বিচিত্র জীবন’

আমরা রিক্সা থেকে নেমে দাঁড়িয়েছি পল্লীর সামনের রাস্তায়। একটি মেয়ে মুচকি হেসে আমাকে তার ঘরে যাবার জন্য আমন্ত্রণ করল। কিন্তু মামুন ভাইকে আমার পাশে দেখে কিছুটা দ্বিধাগ্রস্থ হয়ে গেল। এখন আমি কিছুটা আগ্রহ দেখিয়ে মেয়েটিকে বললাম, চলো, আমি তোমার ঘরে যাব।

নেতাজি মনে করতেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌর প্রশাসন বিজ্ঞানের পর্যায়ে উন্নীত হতে পারবে এবং ব্যবহারিক প্রয়োগ সম্বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণার নানা সম্ভাবনার পথ উন্মুক্ত হবে। পরবর্তীকালে ইউরোপে থাকাকালে তিনি ভিয়েনার পুরসভার সমাজতান্ত্রিক কার্যপ্রণালি দেখার সুযোগ পান।

এশিয়ার প্রথম পুরসংবাদপত্র ‘ক্যালকাটা মিউনিসিপ্যাল গ্যাজেট’ সুভাষচন্দ্রের মস্তিষ্ক প্রসূত। ১৯২৪ সালের ১৫ নভেম্বর এই গ্যাজেট প্রথম প্রকাশিত হয়। দরিদ্র মানুষের কল্যাণার্থে এই সময় পুরসভার যে সমস্ত কর্মসূচির ঘোষণা জানা যায় তার খবর পাওয়া যায় এক বছর পূর্তির বিশেষ গ্যাজেটের সংখ্যায়।

নেতাজি তিন অক্ষরের একটি নাম- একটি মন্ত্রের মতো, যা দেশপ্রেমিক হৃদয়ে ঝড় তোলে। মা ডাকের মতোই শিশু, যুবক ও বৃদ্ধরে আচ্ছন্ন করে এই ডাকটি। মহাবিশ্বের অনেক নক্ষত্রের ভিড়ে সূর্যের স্থান অনন্য। আলো আঁধারের জোয়ার-ভাটায় তিনি হারিয়ে যাননি। ভারতীয় উপমহাদেশে তাকে ঘিরে আগ্রহ ক্রমশ বাড়ছে।

আমরা প্রত্যেকেই একটা সময়ে রসময় গুপ্তের চটি পড়েছি। জেনেছি তাদের রসের গল্প। পত্রিকায় দেখেছি/দেখছি বাস্তব করুণ কাহিনি। আমার দুর্বলতা তখন থেকেই শুরু, যখন দেখেছিলাম শর্টফিল্ম ব্রথেল বেবি, ২০০৩ এ। দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ পতিতালয় কলকাতার সোনাগাছি।

নদীর ওপর সূর্য। টলটল করছে জল। ছোট ছোট ঢেউ ভাঙছে। ঢেউ উঠছে। আর শাদা শাদা মেঘের ছায়া ভাসছে। তীরে দাঁড়িয়ে আছে দুই সৈন্য। তৃষ্ণাকে নিয়ে রানি নামলেন হাঁটুজলে। তৃষ্ণার চোখমুখ খুশিতে উজ্জ্বল। দু’হাতের আঁজলা ভরে সে ছড়িয়ে দিল জল। কাপড়ের তলা থেকে গর্ভকুসুম বের করে রানি ভাসিয়ে দিলেন জলে।

কাদেরিয়া তরিকা আব্দুল কাদের জিলানীর নামে প্রচলিত তরিকা। যদিও তিনি কোনও তরিকার প্রবর্তন করেননি। তার বংশের গাউছ জিলানী ১৪৮২ খ্রিস্টাব্দে এ তরিকা প্রচলন করেন। আর তথাকথিত ভক্তরা ওই তরিকার দোহাই দিয়ে আব্দুল কাদের জিলানীর নামে অসংখ্য মিথ্যে ও বানোয়াট কাহিনি তৈরি করে সমাজে বাজারজাত করেছে। 

সকালে ঘুম ভাঙে। ভোর পাঁচটা। জলের তৃষ্ণায় গলা মুরুভূমির মতো হয়ে আছে। আমি জলে বোতল নিয়ে এক ঢুকে এক লিটার জল খেয়ে ফেলি। মনে হয়, এ জীবনে প্রথম জল পান করলাম। ভয়ংকর এক স্বপ্নের ভেতর থেকে আসলে জেগে উঠেছি। স্বপ্নের বর্ণনা হুবহু কেউ দিতে পারবে না। আমার পক্ষেও সম্ভব নয়।