ইরফান শেখের গদ্য ‘পুরান বই বাজারের ফিরিস্তি’

সৎ ও আমানতদার ব্যবসায়ী হিশেবে নোমান বিন সাবিতের দিন ভালোই চলছিল। নিয়মিত বাজারে যেতেন। কেনাবেচা করতেন, বাড়ি ফিরতেন। নিত্যকার রুটিনের মতো তিনি একদিন বাজারে যাচ্ছিলেন। তখন তার বয়স প্রায় বিশের কোঠায়।

আমি কেন লিখি, আপাত অর্থে খুব নিষ্পাপ একটা প্রশ্ন। কিন্তু এর উত্তরটা আমাকে জানতে হবে। আমার লেখার কী দরকার সেটাও জানা থাকতে হবে।

সময় মহান সৃষ্টিকর্তার এক অনন্য সৃষ্টি। এর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্তই বিশ্বনিয়ন্তার নিকট পরিজ্ঞাত; এই অর্থে তা একক, স্থির ও অখণ্ড। আবার রাতকে সৃষ্টি করা হয়েছে মানুষের পোশাক স্বরূপ; যেন সে ঘুমাতে পারে। ঘুমকে করা হয়েছে বিশ্রাম। দিবসকে সৃষ্টি করা হয়েছে জীবিকা অন্বেষণের জন্য।

রুচির ভান করা সহজ, রুচিকর হওয়া সহজ নয়। আমি একসময় বাংলাদেশের একমাত্র বুদ্ধিজীবী ভাবতাম একজনকে, ড. আহমদ শরীফ। ওনার সমসাময়িক আরসব লেংড়া কিংবা ফজলি আম, বেশি কিছু নয়।

কবি হিমেল বরকত ছিলেন প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনায় আমার এক বছরের সিনিয়র। হিমেল ভাই ছিলেন খুব চুপচাপ, নিরবিলি অন্তর্মুখী আশ্চর্য মানুষ। জলদগম্ভীর কণ্ঠ, চেহারাতেও প্রাজ্ঞতা আর স্থৈর্যের ছোঁয়া। আমাদের কালে ক্যাম্পাসে কবি হিসেবেই সবাই চিনত তাকে।

বাইবেলে হযরত ইব্রাহিমের ঘটনাটা কীভাবে বর্ণিত আছে, অনেকেই জানেন। বাইবেলে আল্লাহর আদেশ বা ওহিটি সরাসরি এবং সুনির্দিষ্ট; সেখানে ব্যক্তি, স্থান, আদেশ এবং কাজের ধরন— সবই সুনির্দিষ্ট। এবং হযরত ইব্রাহিমই সেখানে একমাত্র ব্যক্তি, যিনি সজ্ঞানে খোদার এই আদেশ পালনে অংশগ্রহণ করতেছেন।

রেডিও নাটক শোনার অদম্য নেশা ছিল বাল্যবেলায়, সেই ৯০ দশকের শুরুতে। প্রতি শুক্রবার বিকেল ৩-৫ মিনিটে, আর বুধবার রাত ১০টায় নাটক শোনার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকতাম, আমাদের ছোট্ট রেডিওটিতে।

সম্প্রতি শ্রদ্ধেয় ফরহাদ মজহার কুরবানি নিয়া একটি সিরিজ লেখা শুরু করছেন। কুরবানি নিয়া ফরহাদ মজহার যে লেখাগুলা লিখছেন, এগুলা ধারাবাহিক লেখা। এখন পর্যন্ত দুইটা কিস্তি উনি লিখছেন; সেই দুই কিস্তিতে যা যা আসে নাই, তা সামনের কিস্তিগুলায় আনবেন— বলছেন সেকেন্ড কিস্তির শেষে।