কাজী জহিরুল ইসলামের আত্মগদ্য ‘আমার বিচিত্র জীবন’

আজ মহালয়া। ভোর চারটের সময় নিতিশ বাবু ঘুম থেকে উঠলেন। বাইরে বেশ ঠাণ্ডা। শেফালী দেবী রান্নাঘর থেকে গরম জল করে আনলেন। নিতিশ বাবু গরম জল দিয়ে ভালো করে গা হাত-পা মুছে নিলেন।

আচমকা রিমির দুটো গাল হাত দিয়ে ধরে পাগলের মতো চুমু খেতে থাকল শুভ। অন্ধকার রাত। নীরব বিচ। সমুদ্রের অবিচ্ছিন্ন গর্জন। পাশাপাশি দু`জন নারী-পুরুষের শরীরের উত্তাপ। সবকিছু ছাপিয়ে এই অবিশ্রাম চুম্বন।

শৈশবে এমন একজন মানুষকে দেখেছিলাম, যে কিনা চল্লিশ বছর বাঘের পেটে ছিল। চল্লিশ বছর পর বাঘ তাকে উগরে দেয়। মানুষ কি চল্লিশ বছর বাঘের পেটে থাকতে পারে? কোনো যুক্তিতেই পারে না।

কিছুক্ষণের মধ্যেই সূর্য ডুবে যাবে। তাড়াতাড়ি বেরিয়ে না পড়লে সূর্যাস্ত দেখা যাবে না। আজ আকাশ মেঘমুক্ত। এই অপার্থিব দৃশ্য চোখে না দেখলে কক্সবাজার আসাটাই যে বৃথা হয়ে যায়। হোটেল থেকে এক প্রকার দৌড়াতে দৌড়াতে বিচে এলো।

ভারতের ভূখণ্ডে শিখদের আদি-ইতিহাস এবং এই ধর্মের শুরু থেকেই নানা রকম বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে, তাদের মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর ইতিহাস কম রক্তক্ষয়ী নয়।

এটা হয়তো কেউই প্রত্যাশা করেনি। অথচ অপ্রত্যাশিত দেখাটা হয়েই গেল। দীপের সাথে নিতির এই দেখা হওয়াতে ভালো হলো না মন্দ হলো, সেটা কে বলতে পারে? সময়ই সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেয়। হয়তো ভালো হয়েছে, হয়তো হয়নি।

ঢেউয়ের সাথে মিতালি হলো, বালির সাথে বন্ধুত্ব হলো, নোনা জলের সাথে সখ্যতা হলো। নিচে সমুদ্র, উপরে সূর্য ওদেরকে এক অপার্থিব আনন্দে ভরিয়ে তুলল। যে আনন্দের না আছে কোন সীমা, না আছে পরিসীমা।

যখন প্রেমে পড়েছিলে, সরল প্রেমিক, নিয়ম কানুন কিছুই জানতে না। শূন্য থেকে পড়তে শুরু করলে যেই, ধীরে ধীরে জেনে গেলে সবই। একই সাথে উড্ডীন ও পতনশীল থাকার উপায়।