কাজী জহিরুল ইসলামের আত্মগদ্য ‘আমার বিচিত্র জীবন’
আগস্ট ১৭, ২০২৫
দুপুরে দাদির হাতের রান্না খেয়ে আমরা তিনজন ছাদে বসে আড্ডা দিচ্ছি। তখন এক যুবক দোতলায় উঠে আসেন। যুবকের নাম হুমায়ূন

বেশ্যাকন্যা
সুমীর ঘরের দরজা খোলা। বাইরে থেকে সুমী সুমী বলে ডাক দিলাম। ঘরের ভিতর থেকে কোনো আওয়াজ এলো না। আমরা কিছুক্ষণ বাইরে অপেক্ষা করলাম। এরপর ঘরের মধ্যে ঢুকলাম। টিনের ঘর। একটি খাট, একটি ড্রেসিং টেবিল, ডেসিন টেবিল, ঘরের টিনের ওয়ালে বেশ কিছু নায়ক-নয়িকার ছবি,
মার্চ ১৩, ২০১৮

তৃষ্ণাকুমারী
বাচ্চাকে পেয়ে নয়, বউয়ের আনন্দেই খুশি কিনু গোয়ালা। তাদের সংসারে অভাব তেমন ছিল না ঠিকই, কিন্তু তারা ছিল দুজন। তাদের ছেলেপুলে ছিল না। খালি জায়গা আজ ভগবান পূরণ করে দিলেন। এতেও খুশি কিনু। আর কি চাই! সেদিন আর বাড়ি বাড়ি দুধ বেচতে গেল না কিনু গোয়ালা।
মার্চ ১২, ২০১৮

বেশ্যাকন্যা
আমরা পায়ে হেঁটে রেললাইনের পথ ধরে যেতে শুরু করলাম বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ নিষিদ্ধ পল্লীর উদ্দেশে। রশিদ ভাইয়ের সঙ্গে এখানে দেখা হবার আগের থেকেই মোবাইলে চেনাশোনা ছিল। অসম্ভব ভালো মানুষ এবং বন্ধুপ্রতিম। আমরা খুব গল্প-গুজব করতে করতে এগুতে থাকলাম। দেখতে থাকলাম আশপাশের পরিবেশ
মার্চ ১২, ২০১৮

বেশ্যাকন্যা
আমার চোখ দিয়ে যারা টাঙ্গাইল নিষিদ্ধ পল্লী ধারাবাহিকভাবে দেখে এসেছেন, আশাকরি আমার পরবর্তী লেখার মধ্যে তারা আরও চমক পাবেন। কারণ আমরা যেতে চাই, দেখাতে চাই এ পৃথিবীর বিশাল ভুখণ্ডের মাঝে রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের জন্মভূমিতে রয়েছে অন্য আরেকটি জগৎ। একটি ছোট্ট পৃথিবী।
মার্চ ১১, ২০১৮

তৃষ্ণাকুমারী
ঘুটঘুট্টি অন্ধকার। নদীর তীর ধরে চলেছেন রাজা, আর রাজকুমারী। দুজনের পরনেই সাধারণ পোশাক। রাজার কাঁধে কাপড়ের একটি ঝোলা। তাতে শুকনো খাবার, আর পানি। দ্রুত পা চালান রাজা। আজ রাতের মধ্যেই তাদের পেরিয়ে যেতে হবে খাগড়া মুল্লুক। চলে যেতে হবে আরও উত্তরে।
মার্চ ১০, ২০১৮

বেশ্যাকন্যা
সবাই বিশাল এক হলরুমে বসলেন। অন্ধকার ঘর। প্রজেক্টরে আমার নির্মিত ডকুমেন্টরি ‘অন্ধকারের আলো’ প্রদর্শিত হচ্ছে। সবাই নীরব। মনোযোগ সহকারে দেখছে। মেরি অন্ধকারে আলোকিত একটি নাম। একটি মেয়ে। যে তার নিজের শিক্ষার আলো দিয়েই নিজের জীবনকে আলোকিত করতে চায়।
মার্চ ১০, ২০১৮

বেশ্যাকন্যা
মেয়েটি তার মেমোরিতে থাকা আরও কিছু নতুন আদি-রসের ঘ্রাণ মিশ্রিত কর্ণ-বিচূর্ণ হবার মতো খিস্তি দিয়ে চলল। দেখতে দেখতে আমাদের ঘিরে ছোটখাটো একটা মানুষের জটলা তৈরি হয়ে গেল। পাশেই একটা লোক ডাব বেচছিল। তাকে আমি বললাম, ওই মিয়া, কথা হোনেন না, ধোন ধইরা বইসা থাকলে হইবো?
মার্চ ০৯, ২০১৮

বেশ্যাকন্যা
রাত ১২টা। হোম থেকে ফিরতে হবে এসএসএস এর টাঙ্গাইলের একটি নিজস্ব রেস্ট হাউজে। আমরা ফিরলাম প্রায় রাত ১টায়। রাতের খাবার খেয়ে এসেছি হোমের নিজেন্ব কমন ডাইনিং থেকে। আগামীকাল খুব সকালে উঠেই কান্ধাপট্টিতে শুটিং শুরু করতে হবে। কারণ এর আগে এখান থেকে গিয়ে হোমে কিছুটা সময় শুটিং করতে হবে।
মার্চ ০৮, ২০১৮

বেশ্যাকন্যা
রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত আমরা গানের চিত্রায়ণ করলাম। সাথে মেরির ইন্টারভিউ। সেদিন একটা দৃশ্যে আমি মেরির চোখে কান্নার মুহূর্ত ধারণ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেটি নিতেই যত ঘটনা... টানা এক ঘণ্টা ধরে চেষ্টা করছি কিন্তু মেরির চোখে পানি আনতে পারছি না। ইউনিটের সবাই হাঁপিয়ে উঠেছে।
মার্চ ০৭, ২০১৮

বেশ্যাকন্যা
বেশ্যা বলেই কি তাদের সাজতে নেই? তারা সাজে জীবিকার জন্য। সাজে খদ্দের ধরার জন্য। আর আমরা? গলির মাঝে ঢালা খুলে বসেছে ফেরিওয়ালা। তাকে ঘিরে আছে কয়েকজন মহিলা। মুখ বানানোর কসমেটিক কিনছে। বাচ্চা ছেলেমেয়েরা আনন্দে আত্মহারা। ভিডিও হচ্ছে বলে কথা, কী দারুণ দেখতে... আহা!
মার্চ ০৬, ২০১৮