স্বাধীন খসরুর গদ্য ‘যদি আরও একটু সময় পেতাম’

ঢাকা শহর থেকে রিকশা তুলে দেওয়া হলে কী হবে নাগরিকদের যাতায়াত ব্যবস্থা? তার আগে সবিনয় প্রশ্ন, পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের প্রাচীন নগরী কলকাতায় কি রিকশায় আছে?

সমাজের সমস্যা দূর করার ঐকান্তিক আগ্রহ তাঁকে অনেক সময় স্বাভাবিক মানুষ থাকতে দেয়নি। প্রতিনিয়ত মাথার মধ্যে পরিকল্পনা ঘুরপাক খেতো, সেগুলোই আবার তাঁর কাজে বাধার সৃষ্টি করতো

ঠিক বুঝতে পারছি না। বললেন, তাহলে সম্মেলন হচ্ছে না? দশজন প্রতিনিধি পেলেও সম্মেলনটা করে ফেলতাম

বোচ্ছেন ভাই, রাস্তায় আজকালকার মাইয়াগুলানের দিকে তাকাবেন ওযু থাকলে ওযু ছুইটা যাইব, এমন বেহায়া লেবাস পরে থাকে। মরণের ভয় নাই ওগো। ব্যাটাছেলেগো মতো জিন্সের প্যান্ট পড়বো

কোনো কোনো সকালে ঘুম থেকে জাগার পর মনে হয়, এই পৃথিবীতে আমার কী কাজ? কেন এসেছি? জন্মের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য কী? 

রায়া চোখ বুজে ইকবালের কথা ভাবতে লাগলো কল্পনার আনন্দে বিভোর হয়ে। ঝিমুনির মতো আসার আগে মোবাইল ফোনটা বেজে উঠল

তুমি সেদিন বাইরে গেলে না? জয়া তখন তিন-চারটা ছেলেকে নিয়ে বেশ খানিকক্ষণ ঘরে আড্ডা দিল। গান বাজনা নাকি সব হৈ-হুল্লোড় খানিক করে আবার বেরিয়ে পড়ল ওদের সাথে

রায়ার বুকটা দুরু দুরু করে কাঁপছে। গ্রীন রোড থেকে রিকশা এখন ডান দিকে ছয় নম্বর রোডে ঢুকছে। রায়ার গন্তব্য সাতাশ নাম্বার। সেখানে অপেক্ষা করছে ইকবাল। রাস্তার পাশের আবর্জনার উৎকট গন্ধে রায়া মুখে আঁচল চাপা দিল